ময়ূর নদের নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে সি এস খতিয়ান অনুযায়ী দখলদারদের তালিকা তৈরি ও উচ্ছেদ করতে হবে। অন্তত ৫০ ফুট পরপর নদের সীমানা নির্ধারণী খুঁটি স্থাপন করে নদের স্বাভাবিক জোয়ার-ভাটা চালুর ব্যবস্থা করতে হবে। পয়োবর্জ্য এবং কঠিন বর্জ্য নদীতে ফেলা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে। নগরের বিভিন্ন ড্রেনের বর্জ্য এই নদে ফেলার আগে অবশ্যই পরিশোধন করে নিতে হবে। নদের আবর্জনা পরিষ্কার করে দূষণের উৎসমুখ চিহ্নিত করতে হবে । গল্লামারী সেতুর উচ্চতা করে নদের দুইপাশে বনায়নের মাধ্যমে নগরীর মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। এই নদকে টিকিয়ে রেখে মিষ্টি পানির আধার গড়ে তুলতে হবে। জনউদ্যোগ,খুলনার সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নাগরিক নেতৃবৃন্দ এসব দাবে করেন।
আজ রবিবার দুপুর ১২টায় জনউদ্যোগ,খুলনার আয়োজনে নগরীর কনসেন্স মিলনায়তনে‘দূষণ-দখলে বিপন্ন ময়ূর নদ’- এর নাব্যতা ফিরিয়ে বনায়নের মাধ্যমে নগরীর মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি এবং নদকে টিকিয়ে রেখে মিষ্টি পানির আধার গড়ে তোলার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় লিখিত বক্তব্য পাট করেন জনউদ্যোগ,খুলনার উপদেষ্ঠা শ্যামল সিংহ রায়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি মফিদুল ইসলাম, গ্লোবাল খুলনার শাহ মামুনুর রহমান তুহিন, মহানগর সুজনের যুগ্ম সম্পাদক এ্যাডঃ মামুনর রশীদ,সমাজকর্মী নরেশচন্দ্র দেবনাথ, সম্মিলিত রাইর্টার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক নূরুন নাহার হীরা, কনসেন্সের নির্বাহী পরিচালক সেলিম বুলবুল, জনউদ্যোগ যুব সেলের এম এন আলী শিপলু, এম সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন জনউদ্যোগ,খুলনার সদস্য সচিব মহেন্দ্রনাথ সেন।
বক্তারা লিখিত বক্তব্যে বলেন, ভয়াবহ দূষণের কবলে পড়ে নিজস্ব গতি, ছন্দ, সম্পদ আর সৌন্দর্য আগেই হারিয়েছে ময়ূর নদ। ময়ূর নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে ৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প বাাস্তবায়ন করেছিল খুলনা সিটি করপোরেশন। ২০১৬ সালে শেষ হওয়া এই প্রকল্পের কাজ এতটাই নিম্নমানের ছিল যে, তাতে নদে দৃশ্যমান কোনো পরিবর্তনই আসেনি। বরং পুরো টাকাই নষ্ট হয়েছে।
বক্তারা লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, খুলনা মহানগরী সংলগ্ন ২০টি ড্রেনের নোংরা পানি সরাসরি গিয়ে পড়ছে ময়ূর নদীতে। গল্লামারী বাজার ও আশপাশের এলাকার লোকজন অবাধে ময়লা-আবর্জনা ফেলছে নদটিতে। তাই এ নদের পানির রঙ এখন কুচকুচে কালো। নদ সংলগ্ন এলাকায় দুর্গন্ধে টেকা দায়। ময়লা-আবর্জনা ও পলির স্তপে নাব্যতা হারিয়েছে নদ। নদের পাশ থেকে কিছুটা অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা সম্ভব হলেও সম্পূর্ণ না হওয়ায় এখনও সংকুচিত আছে এর আয়তন। অবিলম্বে নদ উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে মৃত্যুমুখে পতিত হবে এককালের খর¯্রােতা নদটি।