খুলনা অফিসঃ প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেছে এক বছরের বেশি সময় হয়ে গেল। গণপূর্ত বিভাগ ভবন নির্মাণ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দিয়েছে তাও সাত মাস পার হয়েছে। অথচ যন্ত্রপাতি ও জনবলের অভাবেই চালু হচ্ছে না খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগ। একাধিকবার মন্ত্রণালয়ে পত্র প্রেরণ করেও কোন সুফল মিলছে না। সচেতন মহল বলছে, এতদূর এসে শুধুমাত্র যন্ত্রপাতিও জনবল এর কারণে খুলনাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি আইসিইউ বিভাগ বন্ধ থাকতে পারে না।
সূত্রমতে, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আলাদা কোন আইসিইউ বিভাগ নেই। হাসপাতালের ৩য় তলায় পোস্ট অপারেটিভ ইউনিটের চারটি বেড আইসিউ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এ সমস্যা নিরসনে সাড়ে ১১ কোটি টাকা টাকা ব্যয়ে খুমেক হাসপাতালের পূর্ব পাশ ও নার্সিং ইনস্টিটিউটের মাঝে নির্মাণ করা হয় স্বতন্ত্র আইসিইউ ভবন। দ্বিতলা বিশিষ্ট এই ভবনের দ্বিতীয় তলায় রয়েছে ৪টি কেবিন, ১০টি আইসিইউ, ১৬টি পোস্ট অপারেটিভ বেডসহ ৩১ শয্যা বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ আইসিইউ সেবা। আর নীচ তলায় রয়েছে অতি জরুরি সার্জারি রোগীদের সেবা দেয়ার জন্য ইমার্জেন্সি সার্জারি ইউনিট। গত বছরের ৩ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর খুলনা সফরকালে ৯৫ শতাংশ কাজ বাকি রেখেই উদ্বোধন করা হয় এই আইসিইউ ভবন। কাজ সম্পন্ন করে ১ মাসের বেশি সময় আগে গণপূর্তের কাছ থেকে ভবন বুঝে নেয় খুমেক কর্তৃপক্ষ। তবে জনবল ও যন্ত্রপাতির অভাবে চালু হচ্ছে না এই ভবন। জনবল নিয়োগের জন্য ১৪৪ জনের একটি চাহিদাপত্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর বছরের পর বছর পার হলেও অদ্যাবধি পূর্ণাঙ্গ জনবল দেয়া হয়নি। এছাড়া চিকিৎসা সহায়ক সামগ্রীর চাহিদা পাঠিয়ে বার বার যোগাযোগ করা হলেও মন্ত্রণালয় থেকে কোন সুখবর মেলেনি। তবে আইসিইউ বিভাগ চালুর পেছনে নিরন্তর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বললেন, খুব অল্প সময় চাকুরি আছে, এখন আইসিইউ ভবনটি ভালোভাবে চালু করাই আমার একমাত্র লক্ষ্য। এর পেছনেই সারাদিন সময় ব্যয় করি। এ প্রতিবেদককে তিনি বলেন, ভবন বুঝে পেয়েছি ছয় মাসের বেশি সময়। মন্ত্রণালয়ে জনবল ও যন্ত্রপাতি চেয়ে একাধিক চিঠি দিয়েছি। কিন্তু কোন উত্তর পাচ্ছি না। তবে খুলনা মেডিকেল কলেজের নিয়মিত কিছু যন্ত্রপাতি কেনা হচ্ছে। সেখানে কিছু যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ডিমান্ড দিয়েছি। সেগুলোও যদি পাই তাহলে জনবল যা আছে তাই দিয়ে শুরু করে দেবো। যে কোন ভাবেই আইসিইউ বিভাগ চালু করতে চাই।