চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃমহানগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, যাদের নামের সাথে দুর্নীতিসহ নানা ধরনের কালিমা আছে তাদের দলের কোন পদ দেয়া হবে না। কোন দুর্নীতিবাজ, কালোবাজারী, ভূমিদস্যু, মাদক ব্যবসায়ী দলে স্থান পাবে না। আর কেউ যদি (কোন সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক) এ ধরনের মানুষকে দলে আনার চেষ্টা করে, তার বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর কেউ যদি সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ অন্য কোন পদে থেকে থাকে তাহলে তাকে নতুন করে পদ দেয়া হবে না। সে কারনেই প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনা দলকে সুসংগঠিত এবং শক্তিশালী করতে এ বছরের মধ্যেই সম্মেলন করতে নির্দেশনা দিয়েছেন এবং দলের ভেতরে বাইরে কোন ধরনের আগাছা থাকলে তা উপড়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা দলীয় প্রধানের নির্দশনাকে সামনে রেখেই সেগুলি শতভাগ বাস্তবায়ন করা হবে।
বক্তারা বলেন, দলকে পরিষ্কার করতে হবে। এভাবে একটি রাজনৈতিক দল চলতে পারে না। একটি রাজনৈতিক দলের আদর্শ উদ্দেশ্য থাকে। দলের নেতা-কর্মীরা সে আদর্শ মাথায় রেখে সেভাবে রাজনীতি করবে। তাহলেই মানুষ ওই দলের আদর্শ গ্রহণ করা শুরু করবে। আসুন সফল রাষ্ট্রনায়ক, মানবতার মা প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে এ শপথ গ্রহণ করি।
আ’লীগ নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, পূজায় সর্বদা সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। কেউ যদি পূজা মন্ডপে গিয়ে কোন ধরনের অসৌজন্য আচরণ করে তাহলে তাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে। প্রত্যেক মহল্লায় আ’লীগের স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গঠন করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করতে হবে।
গতকাল বেলা ১১টায় দলীয় কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র ৭৩তম জন্মদিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। নগর আ’লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন আ’লীগ কার্যনির্বাহী সদস্য, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন জেলা আ’লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ হারুনুর রশীদ, নগর আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান, এড. চিশতি সোহরাব হোসেন শিকদার ও জেলা ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এড. সুজিত অধিকারী।
আরও বক্তৃতা করেন আ’লীগ নেতা এড. কাজী বাদশা মিয়া, কাজী এনায়েত হোসেন, এ এফ এম মাকসুুদুর রহমান, মল্লিক আবিদ হোসেন কবীর, বেগ লিয়াকত আলী, বিএমএ সালাম, এড. রজব আলী সরদার, নুর ইসলাম বন্দ, শেখ মোঃ ফারুক আহমেদ, কামরুজ্জামান জামাল, মোঃ আশরাফুল ইসলাম, শ্যামল সিংহ রায়, মকবুল হোসেন মিন্টু, মোঃ মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, এড. ফরিদ আহমেদ মোল্লা, শেখ ফজলুল হক, কাউন্সিলর জেড এ মাহমুদ ডন, জোবায়ের আহমেদ খান জবা, ফেরদৌস আলম চাঁন ফারাজী, এড. খন্দকার মজিবর রহমান, হাফেজ মোঃ শামীম, শেখ নুর মোহাম্মদ, শেখ মোশাররফ হোসেন, কাউন্সিলর মোশাররফ হোসেন, শেখ সৈয়দ আলী, এ কে এম সানাউল্লাহ নান্নু, সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, ফকির মোঃ সাইফুল ইসলাম, তসলিম আহমেদ আশা, হাসান ইফতেখার চালু, প্যানেল মেয়র আমিনুল ইসলাম মুন্না, এড. রবীন্দ্র নাথ মন্ডল, শেখ আলী আকবর, অসিত বরণ বিশ্বাস, আবুল কাশেম মোল্লা, এড. সরদার আনিসুর রহমান পপলু, আলমগীর সরদার, শেখ পীর আলী, রনজিত কুমার ঘোষ, মনিরুজ্জামান সাগর, শেখ মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, শেখ মোঃ আবু হানিফ, শফিকুর রহমান পলাশ, মোঃ মোতালেব হোসেন, মীর বরকত আলী, শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজন, পারভেজ হাওলাদার, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, ফেরদৌস হোসেন লাবু, শেখ আবিদ উল্লাহ, মোঃ মোতালেব মিয়া, ফয়েজুল ইসলাম টিটোসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। মাহফিলের পর ৭৩ পাউন্ডের কেক কাটা হয়।