স্তন ক্যান্সার এক ঘাতক ব্যাধি। প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে রোগী ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে যারা একটু দেরি করে ফেলেন, তাদের মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যায়।
পুরুষের চেয়ে নারীরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন। তবে নারীরা তাদের এই রোগের কথা কাউকে বলতে চান না। ফলে তারা স্তন ক্যান্সারের মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৫ হাজার নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। আর মারা যান আট হাজারের মতো। আমাদের দেশে ৪০ বছরের পর নারীদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে থাকে।
স্তন ক্যান্সার কেন হয়?
স্তন ক্যান্সারের অন্যতম কারণ হচ্ছে– জীবনযাত্রায় পরিবর্তন। প্রচুর পরিমাণে ফাস্টফুড খাওয়া, সবুজ সবজি কম খাওয়া, শারীরিক পরিশ্রম না করা ও অতিরিক্ত স্থূলতা।
এ ছাড়া দেরিতে সন্তান নেওয়া, শিশুকে বুকের দুধ না খাওয়ানো, বগলে চাকা দেখা দেওয়া।
স্তন ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়লে কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। যেমন- যকৃতে ছড়ালে পেটে ব্যথা বা জন্ডিস দেখা দেয়। ফুসফুসে ছড়ালে কাশি হওয়া এমনকি কাশির সঙ্গে রক্তও যেতে পারে। আর হাড়ে ছড়ালে সেখানে তীব্র ব্যথা হয়।
এই রোগের উপসর্গ
স্তনে চাকা দেখা দেওয়া, স্তনের চামড়ার রঙ পরিবর্তন হওয়া, চামড়া মোটা হওয়া, নিপল বা স্তনের বোঁটা ভেতরে দেবে যাওয়া এবং নিপল দিয়ে রক্ত বা পুঁজ পড়া।
কী করবেন
এসব উপসর্গ দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এ ছাড়া সুশৃঙ্খল জীবনযাত্রা এবং জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন এলে (যা ক্যান্সার রোগের কারণ) এ রোগের প্রকোপ অনেকাংশেই কমে আসবে।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, রেডিওথেরাপি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।