আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির যেকোনো আন্দোলন রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে চায় আওয়ামী লীগ। রাজপথ থেকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে, বন্দুকের নল থেকে নয়। আওয়ামী লীগ আগে হামলা করবে না। হামলা হলে কী করতে হবে সেটা সময় হলে বলে দেবে। নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে বিএনপি যতই লাফালাফি করুক তাতে কাজ হবে না।
আজ সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর কদমতলী থানা আওয়ামী লীগ ও কয়েকটি ওয়ার্ডের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনার প্রতি বিএনপির আস্থা থাকার দরকার নেই উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, যারা আজিজ মার্কা নির্বাচন করেছে তাদের আস্থার দরকার নেই। সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সরকার নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা করবে।
কাদের আরও বলেন, বিদেশি দূতাবাসে গিয়ে সুখেই আছে বিএনপি। ওখানে গিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে নালিশ করে। নালিশ পার্টি বিএনপি এখন উভয় সংকটে। আন্দোলনেও বিপদ, নির্বাচনেও ভয়।
এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি বলেন, তথাকথিত ঐক্যজোট খানখান হয়ে যাবে, অপেক্ষা করতে হবে। একটা আদর্শের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছে আওয়ামী লীগ। আন্দোলন ও নির্বাচনে খেলা হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি সন্ত্রাসের পথে হাঁটছে। মারামারি করার সময় লাঠিতে জাতীয় পতাকা ঝুলিয়ে তারা জাতীয় পতাকার অবমাননা করছে। এই অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতারা বক্তব্য রাখেন।