রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩টি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৫ থেকে ২৭ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে। এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে খুলনাঞ্চল থেকে হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে রাজশাহী যেতে হবে।দীর্ঘ পথ আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য ট্রেনই উত্তম বাহন। যে কারণে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা রাজশাহীগামী ট্রেনের টিকিটের জন্য টিকিট বিক্রির একদিন আগেই খুলনা স্টেশনে এসে চেষ্টা করেও পাননি।
বুধবার (২০ জুলাই) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক এস এম আতিয়ার রহমান বলেন, ভোর রাতে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি কিন্তু টিকিট পাইনি। শত শত শিক্ষার্থীর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ১ মিনিটের মধ্যে অনলাইনের সমস্ত টিকিট কারা নিয়ে গেছে। বুধবার ৮টায় টিকিট ওপেন হলে ১ মিনিটের মধ্যে টিকিট হাওয়া হয়ে যায়।
আমের সময় যেমন স্পেশাল ট্রেন দেয়, উচিত ছিল পরীক্ষার সময় তেমন স্পেশাল ট্রেন দেওয়া অথবা অতিরিক্ত বগি দেওয়া।রাজশাহী ও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উচিত ছিল বিভাগীয় শহরে পরীক্ষার আয়োজন করা। তাহলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের এমন হয়রানি হতো না।টিকিট না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অনেক শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক।টিকিট সংগ্রহ করতে আসা শিক্ষার্থীরা বলেন, রাত ৩টা থেকে স্টেশনে দাঁড়িয়েও টিকিট পাইনি।
সকাল ৮টায় স্টেশনে টিকিট ছাড়ার পরপরই বলে দিয়েছে টিকিট শেষ। আর অনলাইনেও ৮টায় টিকিট ছাড়ার কথা ছিল কিন্তু অনলাইনে তো ঢুকতেই পারিনি।আমরা রাজশাহী যাবো আমাদের পরীক্ষা ২৫ জুলাই। খুলনা থেকে রাজশাহী যাওয়ার তেমন ভালো পরিবহন ব্যবস্থাও নেই। আর ট্রেনের এই অবস্থা। এখন কীভাবে রাজশাহী যাব! সরকারের কাছে একটাই দাবি বাংলাদেশ রেলওয়ের দিকে যেন একটু নজর দেয়।
কাউন্টারে টিকিট না পেয়ে ভুক্তভোগীরা রেলকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে হৈচৈ করেন। ভুক্তভোগী অনেকে অভিযোগ নিয়ে খুলনা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকারের রুমে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তিনি বুধবার স্টেশনে আসেন নি।এবিষয়ে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহীদুল ইসলাম ও পাকশী বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।