রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকারকে মহানগর আওয়ামী লীগ থেকে সামিয়কভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ দিয়ে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার রাতে নগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি সভায় সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়। রাসিকের সম্মেলন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নগরীর কুমারপাড়ায় নগর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে রাসিক মেয়র ও নগর কমিটির সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত নির্বাহী কমিটির সভায় রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকারকে ১৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মোহাম্মদ আলী সরকারকে দল থেকে বহিষ্কারের প্রসঙ্গে ডাবলু সরকার বলেন, রাজশাহীতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল নির্মাণ ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি এবং ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকা ছাড়াও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাকে দলের পদ থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সুপারিশ কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
ডাবলু সরকার আরও জানান, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণের দাবিটি রাজশাহীবাসীর প্রাণের দাবি। ভাষাসৈনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলসহ সর্বস্তরের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে মহানগরীর প্রাণকেন্দ্র সোনাদীঘিসংলগ্ন সার্ভে ইন্সটিটিউটের পরিত্যক্ত স্থানে রাজশাহী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
সেখানে গত ১৬ ডিসেম্বর শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। সরকার ইতিমধ্যে সাড়ে ১৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। শহীদ মিনার নির্মাণের ব্যাপারে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একমত থাকলেও পরে তিনি তার অবস্থান বদল করেন।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মামলা করে তার নির্মাণ বন্ধের চেষ্টায় লিপ্ত আছেন। এ কারণে তাকে দল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।