রামপালে বর্জ্য ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় যত্রতত্র প্লাস্টিকের ও জীবযন্তুর বর্জ্যসহ সকল প্রকার বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। হাট-বাজার গুলো নদী কেন্দ্রীক হওয়ায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে বর্জ্য নদীতেই ফেলা হচ্ছে। এতেকরে নদীর নাব্যতা হ্রাসসহ পরিবেশ বিপর্যয়ের আশংকা দেখা দিয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে উপজেলার পেড়িখালী বাজারের সকল বর্জ্য মোংলা ঘোষিয়াখালীর চ্যানেলে ফেলানো হয়। এছাড়াও ফয়লাহাট, ডাকরা বাজার, কালিগ্জ বাজার, গিলাতলা বাজার, ঝনঝনিয়া বাজার, চাকশ্রী বাজার, বেতকাটা বাজার, গোনা বাজার ও গৌরম্ভা বাজার গুলো নদী কেন্দ্রিক। এ ছাড়াও স্থলভাগে বাজার রয়েছে ভাগা বাজার, শ্রীফলতলা বাজার, সন্নাসীর বাজার, বাবুর হাট। এসব বাজারের সম্পুর্ন বর্জ্য নদীতে ও খালে ফেলানো হয়ে থাকে। বিশেষ করে ফয়লাহাট ও গিলাতলা বাজারের বর্জ্য সরাসরি নদীতে ফেলায় মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। বাজারের ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে ময়লা ফেলার ডাম্পিং ব্যবস্থা না থাকায় ময়লা আবর্জনা নদী বা ডোবায় ফেলা হয়। তারা বলেন বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি থাকলেও বা এ ব্যাপারে সরকারি নির্দেশনা থাকলেও সেটিতে কারো নজর নেই। এ বিষয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র বাগেরহাট জেলা সদস্য এম, এ সবুর রানা’র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্জ্য নদীতে ও খালে ফেলা হলে নদীর নাব্যতা হারাবে। এ ছাড়াও পরিবেশ দুষণ ও পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দিবে। নির্দিষ্ট স্থানে বর্জ্য ফেলতে হবে। এ জন্যে তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের জোর হস্তক্ষেপসহ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন।