বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার কাশিপুর এলাকায় একটি অসহায় পরিবারের গরু-ছাগল সন্ত্রাসীদের কব্জায় নেয়া ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে অসহায় পরিবার তাদের গরু-ছাগল ফেরত পেতে ও মারধরের বিচার পেতে ‘রামপাল প্রেসক্লাব’ এ এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী কাশিপুর এলাকায় মৃত এসকেন্দার হাওলাদার’র স্ত্রী পারভীন বেগম(৪৩)। এছাড়াও তিনি রামপাল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, একই এলাকার মোল্যা কামরুজ্জামান বাবু(৪৮), লাবনী বেগম(৩৭), ফকির তারেক(৩৫) ও ফকির দিদার(৪৭) পরসম্পদলোভী, এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, আওয়ামীলীগের দোসর ও আইন অমান্যকারী ব্যক্তি।
গত ৬-১১-২০২৪ তারিখ লাবনী বেগম আমাদের বাড়িতে এসে আমার ছেলে আল আমিন (১৭)কে ছাগল চুরির অপবাদ দিয়ে আমাদের গালিগালাজ করে এবং আমার ছেলেকে তার বাড়িতে নিয়ে যেতে বলে। আমি তাদের কথামতো তাদের বাড়িতে ছেলেকে নিয়ে হাজির হলে কামরুজ্জামান ও তার সাথের লোকজন আমাকে এবং আমার ছেলেকে মারধর করে। এসময় তারা আমার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায়। মারধরের পরে তারা আমার ছেলেকে একটি ছাগল দিয়ে শোলাকুড়া এলাকায় বিক্রি করে এনে দিতে বলে। তাদের সাজানো লোক দিয়ে আমার ছেলেকে আবারো মারধর করে এবং তাকে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলে। পরবর্তীতে কামরুজ্জামান’র স্ত্রী লাবনী বেগম কয়েকজন মহিলাকে সাথে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে বড় আকৃতির একটি গরু ও তিনটি ছাগল জোরপূর্বক নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল ২ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা।
তিনি আরো জানান, বিগত দিনে তারা বাইনতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের ছত্রছায়ায় থেকে এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েছে এখনো চালিয়ে যাচ্ছে। আমি একজন অসহায় নারী আমি আমার গরু-ছাগল ও আমার পরিবারের নিরাপত্তা চাই। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি, তারা যেকোনো সময় আমাদের বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত কামরুজ্জামান বাবু উল্লেখিত সকল বিষয় অস্বীকার করে বলেন, আমি ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এ অভিযোগ আনা হয়েছে। আমি কারো গরু-ছাগল আনি নাই, সকল অভিযোগ মিথ্যা। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।
এ বিষয়ে রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সেলিম রেজা জানান, পারভীন বেগম একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করবে এবং অভিযোগ সত্য হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।