রামপালের ফয়লাহাট কামাল উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচনে প্রধান শিক্ষক কর্তৃক তালবাহানার অভিযোগ এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন নির্বাচিত অভিভাবক সদস্য ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকবৃন্দ। এসময় তারা একটি প্রতিবাদ সমাবেশ ও করেন। নির্বাচিত অভিভাবক সদস্য মনিরুজ্জামান ও মোঃ ওমর ফারুক শনিবার বিকাল ৫ টায় ওই বিদ্যালয়ের সামনে লিখিত বক্তব্যে জানান, দীর্ঘদিন পর ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিঠ ফয়লাহাট কামাল উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নির্বাচনের মাধ্যমে অভিভাবক সদস্য নির্বাচিত হয়। গত ১৫/০১/২০২২ তারিখ ৫৬৮ জন অভিভাবক সদস্যের ভোটের মাধ্যমে উৎসব মূখর পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন হয়। এতে আমরা বিপুল ভোটে নির্বাচিত হই। উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও সম্পাদক গাজী জাহাঙ্গীর আলম নোটিশের মাধ্যমে সভাপতি পদে নির্বাচনের জন্য ২২/০১/২০২২ তারিখ সকাল ১১ টায় সভা আহবান করেন। যথারিতি এ দিন এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, অভিভাবক প্রতিনিধিসহ অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণ উপস্থিত হন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক/ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সাহেব বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন নাই এবং তার ব্যবহৃত মোবাইলফোনটিও বন্ধ রাখেন। কি কারনে কোন কারন বা নোটিশ ছাড়াই সভাপতি নির্বাচন কার্যক্রম বন্ধ রাখেন সেটি আমাদের কাছে বোধগম্য নয়। সুষ্ঠু ও নিরাপেক্ষ গোপন ভোটের মাধ্যমে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হলে ওই বিদ্যাপিঠের সুনাম আরও বৃদ্ধি পাবে। প্রধান শিক্ষক সাহেব কোন কারন ছাড়াই বিনা নোটিশে অনুপস্থিত রয়েছেন। এতে আশঙ্কা প্রকাশ করছি যে, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করতে তালবাহানা শুরু করেছেন। পরবর্তীতে তিনি এমন কোন অজুহাত সৃষ্টি করতে না পারে এ জন্য আপনাদের মাধ্যমে এ সংবাদ সম্মেলন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করছি। এসময় বক্তব্য রাখেন, ওমর ফারুক, মুক্তিযোদ্ধা মল্লিক খলিলুর রহমান, আমিনুল ইসলাম, বিল্লাল হোসেন, নজরুল ইসলাম, বেনজির হাওলাদার, জাকির হোসেন, মিলন মল্লিক, এরাদুল শেখ, মোঃ মাছুম বিল্লাহ, মিরন মুন্সি, মোয়াজ্জেম মল্লিক, আঃ সালাম, শেখ সোহান, জিল্লুর রহমান, রনজিৎ পাল, মোসা শেখ প্রমুখ। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক গাজী জাহাঙ্গীর আলমের ব্যবহৃত ০১৭১৬-৪৫২০১৯ নং ফোনে যোগাযোগ করে ও খুদে বার্তা পাঠিয়ে তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।