
দিনব্যপী এই মেলায় উপজেলার মোট ৪১ টি ষ্টল নিয়ে খামারী ও প্রযুক্তি ব্যবসায়ী ও সরবরাহকারীরা অংশ নেয়। প্রদর্শণীতে উন্নত জাতের গাভী, বাছুর, ষাড়ের ষ্টল, উন্নত জাতের মহিষের ষ্টল, উন্নত জাতের ছাগল ভেড়ার ষ্টল, উন্নত জাতের হাঁস মুরগীর ষ্টল, বিভিন্ন শৌখিন পাখি ও প্রাণী (কবুতর, ময়না, টিয়া, ঘুঘু, খরগোশ, বিড়াল, টারকি, কোয়েল প্রভৃতি) ষ্টল, বিভিন্ন প্রাণী প্রযুক্তির ষ্টল, দুগ্ধজাত পণ্য (মিষ্টি দই ঘি ছানা ইত্যাদি) ষ্টল, বিভিন্ন উৎপাদিত মাংশ প্রক্রিয়াজাত পণ্য দ্বারা দৃষ্টিনন্দন ষ্টল প্রদর্শন করা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ জাহিদুর রহমান বলেন, দেশে উন্নত জাতের বংশ বিস্তার ও খাদ্যপণ্যের চাহিদা মেটাতে কৃষকের দোরগোড়ায় উন্নত জাত ও প্রযুক্তি হস্তান্তর করছেন সরকার। এতে করে জ্ঞান ধারনা ও প্রযুক্তির দ্রুত সম্প্রসারণ ঘটবে। মূলত এই মেলার লক্ষ্য ও উউদ্দেশ্য হলো প্রাণী সম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধি করা। ক্ষুদ্র খামারী ও উদ্যেক্তাদের প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবেলায় সক্ষমতা সৃষ্টি। বিজ্ঞান ভিত্তিক লালন পালন কৌশল অবহিত করা। উন্নত জাতরে পশুপাখি পালনে আধুনিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করা এবং জনসাধারনের জন্য নিরাপদ প্রাণীজ আমিষ সরবরাহ নিশ্চিত করা।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, এটা বর্তমান সরকারের যুগান্তকারী একটি পদক্ষেপ যা প্রাণীসম্পদ সেক্টরে অভাবনীয় পরিবর্তন আনবে। প্রান্তিক খামারিদের সাবলম্বী করতে আমাদের উপজেলা প্রশাসন তৎপর রয়েছ। পাশাপাশি আজকের এই প্রদর্শনী মেলায় আগত বিভিন্ন খামারি ভাইয়েরা তাদের প্রচেষ্টার কষ্টের ফসল মেলায় প্রদর্শন করে সফলতা দেখিয়েছেন।