২০১১ সালে আত্মপ্রকাশ করে হাটি হাটি পা পা করে আজ দশম বর্ষে পর্দাপণ করলো নোয়াখালী প্রতিদিন। আজ মঙ্গলবার (১৫ই জুন) ঢাকাস্থ নোয়াখালী জেলা সিমিতির কার্যালয়ে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দশম বছর পর্দাপণকে স্মরণ করা হয়। দৈনিক নোয়াখালী প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক রফিকুল আনোয়ারের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক নাছির উদ্দিনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম (এমপি)।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালীর কৃতি সন্তান বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী লায়ন সৈয়দ হারুন, বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ সংস্থার চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক, নোয়াখালী প্রতিদিনের সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি মো. নাসির উদ্দিন। বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি সাংবাদিক জাফর সেলিম, সেনবাগ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাংবাদিক ফিরোজ আলম রিগ্যান, সামাজিক সংগঠন উই ফর ইউ-এর ঢাকা ইউনিটের সভাপতি জাকির হোসেন, বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী ফোরামের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, বঙ্গবন্ধু ইউনানী আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক লীগের সভাপতি ডাক্তার আমিন উল্লাহ, নোয়াখালী প্রতিদিন পাঠক ফোরামের সভাপতি মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম রিয়াদ, সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আহমেদ মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান ইমনসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সাংবাদিক বুদ্ধিজীবী কলামিস্ট অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেন, গণমাধ্যম এমন এক শিল্প যা বর্তমান সময়ে আমাদের ভুল-ত্রুটিগুলোকে তুলে ধরে, বর্তমান সময়ে একটি গণমাধ্যম ধরে রাখা অনেক কঠিন ব্যাপার। কারণ সাংবাদিক রিপোর্ট করলে কারো পক্ষে যাবে বা কারো বিপক্ষে যাবে যার বিপক্ষে যাবে সে হয়তো বা ওই পত্রিকায় কোন বিজ্ঞাপন দিবে না। আমার নিজেরও একটি গণমাধ্যম আছে আমি জানি কারণ বিজ্ঞাপন হচ্ছে গণমাধ্যম টিকিয়ে রাখার মূল চালিকাশক্তি। অনেক সময় নিজের পকেটের টাকা খরচ করেও জনগণের সংবাদটুকু গণমাধ্যমকর্মীরা প্রকাশ করে থাকে। রাষ্ট্রের জন্য গণমাধ্যম একটি অপরিহার্য বিষয় গণমাধ্যম সমাজের ভুলত্রুটি তুলে না ধরলে একটি রাষ্ট্রপরিচালনা অনেক সময় ভুলপথে পরিচালিত হতে পারে। আমরা যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করি আমরা যারা মন্ত্রণালয়ে আমরা সেগুলো দেখে রাষ্ট্র পরিচালনায় অনেক সর্তকতা অবলম্বন করি। গণমাধ্যম আমাদের বহু ত্রুটিগুলোকে প্রকাশ করে দেয়।
নোয়াখালীর বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, নোয়াখালীর মানুষের সাথে আমার পূর্ব থেকে খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। প্রয়াত নেতা আব্দুল মালেক উকিল-এর পরিবারের সাথে আমার সাথে সম্পর্ক আছে। বিএনপি নেতা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপদেষ্টা বরকত উল্লাহ বুলু, জয়নাল আবদীন ফারুকসহ অনেকের মামলার ফাইল আমি দেখাশোনা করেছি। আমাদের সামনে যিনি বসে আছে আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক তার ব্যক্তিগত ফাইলও আমি দেখাশোনা করেছি, বিএনপি’র প্রয়াত নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের সাথে আমার আইনজীবী হিসেবে খুব একটা ভালো সম্পর্ক ছিল। আমি যখন কলেজে পড়ালেখা করি তখন আমার কলেজে একটি নির্বাচনের সরাসরি আমাদের নেতা ওবায়দুল কাদের সাহেব আমাকে কমিটি গঠন করে সেখানে ভিপি নির্বাচিত করেছিলেন সে থেকে নোয়াখালীর প্রত্যেকের সাথে আমার সাথে কমবেশি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে।
মন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমে কোন প্রচার-প্রচারণায় কেউ যদি বাধা দেয় তাহলে বুঝতে হবে সে রাষ্ট্রের কল্যাণ চায়না। এ সরকার গণমাধ্যম বন্ধব সরকার বেসরকারি টেলিভিশন একুশে টিভি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম অনুমোদন দিয়েছিল। আজকের বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যম অনলাইন পোর্টাল সবকিছুই আওয়ামী লীগ সরকার অনুমোদন দিয়েছে।
কোভিড-১৯ করোনাকালীন এই সংকটে সাংবাদিকদের ফান্ডে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বর্তমান সরকার সাংবাদিকদের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে কোনো গণমাধ্যম কর্মী যাতে তার তথ্য অধিকার নিশ্চিতের জন্য যে কোনো অফিসে গিয়ে তথ্য নিতে পারে সেজন্য সরকার আইন করে দিয়েছে। মোটকথা বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার গণমাধ্যম বান্ধব সরকার।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক বলেন, বর্তমান সময়ে গণমাধ্যম একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয়। আমার জানা মতে, রফিকুল আনোয়ার যে বস্তুনিষ্ঠু সংবাদ প্রকাশ করে তাহা অনেক গণমাধ্যম এড়িয়ে চলে। আমাদের নোয়াখালীসহ সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমরা নোয়াখালী প্রতিদিন পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারি। ১০ম বর্ষে পর্দাপণ উপলক্ষ্যে নোয়াখালী প্রতিদিন পরিবারের সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।