খুলনা রূপসায় আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় তিনটি ঘর ভাঙচুর, সাড়ে তিন লক্ষ টাকা ও স্বর্ণালংকার ভাঙচুর লুটপাটে প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষ সহ মোট ৯ লক্ষ টাকার ক্ষতি। দেশীয় অস্ত্র লোহার রড, শাবল, হাতুড়ি, ধারালো দা, লাঠিসোঠা নিয়ে একটি বাড়ীতে ঠুকে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় রূপসা থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে ভুক্তভোগীরা। মামলার বাদী মোঃ ইব্রাহিম এজাহারে উল্লেখ করেন গত ১৩ অক্টোবর রাত্র আনুমানিক ৮ টায় রূপসা বাগমারা এলাকায় ডাকাতির উদ্দেশ্যে আমার বাড়িতে আমার স্ত্রী মনিরা বেগম ও বড় ভাই ইব্রাহিম, ভাবি সোভা বেগম ও ভাইপো রনি উপর হামলা চালায় এ সময় তারা গুরুতর আহত হয়। তখন তারা টাকা-পয়সা স্বর্ণঅলংকার সবকিছু লুট করে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ইব্রাহিম বলেন, আমি ঘটনার বিষয়টি লোক মুখে সংবাদ পায়ে আমি দ্রুত বাড়ীতে এসে দেখি আমার বড় ভাই ইসরাইল শেখ, ভাবি সোভা বেগম, আমার স্ত্রী মনিরা বেগম, ভাইপো রনি ও ভাই শুকুর সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে পড়ে আছে। তাদেরকে তাৎক্ষণিক রূপসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করি। আমার পরিবারের সকলের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে ঘটনার বিষয়ে সবকিছু শুনি।
পরে গত ১৪ অক্টোবর রূপসা থানায় বাগমারার এ ঘটনায় ১৬ জনকে আসামি করে অজ্ঞাতনামা আরো ৫/৭ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়। ১৫ অক্টোবর মামলা নং- ৪০/৯২(০৩)/১। এ মামলায় আসামিরা হলেন সাবেক আওয়ামী লীগের মেম্বার রিনা বেগম সহ ইয়াছিন খা, মুন্না শেখ, মোঃ রাজিব শেখ, মোঃ রবি শেখ, মোঃ সাজ্জাদ শেখ, মোঃ তুষার শেখ, মোঃ রাজু শেখ, মোঃ মারুফ খা, মোঃ আলহাজ শেখ, মোঃ পিন্টু শেখ, মোঃ ইয়াকিন শেখ, মোঃ তাইম শেখ, মোঃ জুবায়ের শেখ, মোঃ আলী শেখ ও রাজিয়া সুলতানা ডাকাতির উদ্দেশ্যে হামলা করে।
এ ঘটনার বিষয় প্রত্যক্ষদর্শী ইয়াসমিন বেগম বলেন, ঐদিন রাতে হইচই কান্নাকাটির আওয়াজে আমরা দৌড়ে আসলে দেখি। এই এলাকারই মেম্বার রিনা ও আলী অন্যান্য আরো কিছু ছেলেরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আওয়ামী লীগের আমলে এরা আওয়ামী লীগের দাপটে বিভিন্ন অপকর্ম ও অন্তবর্তী কালীন সরকারের আমলেও তারা থেমে নেই। জমি দখল, লুটপাট হামলা সহ নানা অপরাধের সাথে তারা জড়িত।
মুরশিদা বেগম বলেন, এদের এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে এলাকার সাধারণ মানুষ ভয়-ভীতিতে দিন যাপন করছে। কখন যেন বাড়ি হামলা করে। ভাঙচুর লুটপাট করে নিয়ে যায়। ছেলে মেয়েদের নিয়ে ভয়ে দিন যাপন করতে হচ্ছে।
রূপসা থানার এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জুয়েল রানা বলেন, ট্রিপল নাইনে ফোন করলে আমরা ঘটনার স্থলে পৌছাই এবং সেখান থেকে মোঃ মারুফ খা ও মোঃ ইয়াকিন শেখ নামে দুইজন আসামিকে গ্রেপ্তার করি। তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামিরা পালিয়ে আছে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, আমরা আশাবাদী এই ঘটনায় জড়িত আসামিরা অতি শীঘ্রই গ্রেফতার হবে। আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।