সারাদেশে সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে এক সপ্তাহের লকডাউন শুরু হয়েছে। উদ্দেশ্য করোনা সংক্রমণ রোধ করা।
এবারের লকডাউনে সড়কে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। গণপরিবহন আর সড়কের পাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছাড়া এবার সবই খোলা। লকডাউনে অসুবিধায় পড়েছেন চাকরিজীবি মৌসুমী মল্লিক । তিনি নগরীর পাওয়ার হাউজ মোড়ের একটি সরকারি দফতরের কর্মকর্তা দৌলতপুরের বাসিন্দা। বাসা থেকে বের হয়েছেন সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে। রাস্তায় আধ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে উঠতে পেরেছেন থ্রী হুইলার মাহিন্দ্রায়। সীমিত সংখ্যক গাড়ি চলাচল করায় তার এই দেরী। আবার জোড়াগেট মোড়ে যাওয়ার পর গাড়ি থেকে যাত্রী সীমিত রেখে বাকিদের নামিয়ে দেওয়া হয়। তখন অনেক লোককে হেটে যেতে হয় তাদের কর্মস্থলে। এভাবেই বিপাকে পরে অনেক সাধারন মানুষ।
নগরীর দৌলতপুর বাজার কাপড় পট্টি, খুলনা শপিং কমপ্লেক্স, নিউ মার্কেট, জলিল টাওয়ার মোটামুটি লকডাউন মেনে নিলেও ডাকবাংলার রেলওয়ে মার্কেট, চিত্রালী বাজার কাপড় মার্কেট গুলোতে দোকান অর্ধ বন্ধ রেখে চালিয়েছে।
এছাড়া প্রশাসন ছিলো বেশ সরব। তাদের কাজের তেমন কোন ত্রুটি চোখ পরে নায়।
আবার নিম্ন আয়ের মানুষ পেটের তাগিদে বাহিরে নেমেছে কাজের সন্ধানে। তাদের নাকি এসব করোনায় কিছুই হয় না। এগুলো বড় লোকের। এমনটাই জানায় অনেক খেটে খাওয়া মানুষ।
তবে সন্ধা ৭টার পর নিষেধাজ্ঞানুযায়ী সকল দোকনপাট বন্ধ হয়ে যায় এবং বেশীরভাগ মানুষ দ্রুত তাদের ঘরে ফিরে যায়। এবং এই ব্যস্ত শহর নিস্তেজ হয়ে যায়।