আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডে দেশটির পার্লামেন্ট চত্বরে লকডাউন বিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ জুলাই) রাতের এ বিক্ষোভে অংশ নেয় হাজার হাজার মানুষ। মূলত বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা এতে অংশ নেন। তবে রাদোমির লেজোভিক নামের একজন বিরোধীদলীয় নেতা সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন, লোকজন স্বতঃস্ফূর্তভাবে ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছে।
করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় বেলগ্রেডে কর্তৃপক্ষের লকডাউনের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলে বিক্ষোভকারীরা। প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভুসিকের পদত্যাগের দাবিতেও স্লোগান তোলে তারা।
এদিন সন্ধ্যায় করোনা মোকাবিলায় বেলগ্রেডে সপ্তাহব্যাপী লকডাউনসহ আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভুসিক। সন্ধ্যায় তার এ ঘোষণার পর রাতেই পার্লামেন্ট চত্বরে হাজির হয় হাজার হাজার মানুষ।
পার্লামেন্টের সামনে বেলগ্রেডের সেন্ট্রাল স্কয়ারে অবস্থান নেয় বিক্ষোভকারীরা। স্থানীয় সময় রাত ১০টার দিকে একদল বিক্ষোভকারী পুলিশকে এড়িয়ে দরজা ভেঙে পার্লামেন্ট ভবনে প্রবেশ করতে সমর্থ হয়। পরে অবশ্য পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।
এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিক্ষোভকারীরা। টেলিভিশনের ফুটেজে পুলিশের দিকে তাদের পাথর নিক্ষেপ করতে দেখা গেছে। এছাড়া অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে।
আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের হিসাব অনুযায়ী, ৭০ লাখ জনসংখ্যার দেশ সার্বিয়ায় এখন পর্যন্ত ১৬ হাজার ৭১৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৩৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, মঙ্গলবার করোনা শনাক্তের ঊর্ধ্বগতি ছিল লক্ষণীয়। এদিন দেশটিতে নতুন করে ২৯৯ জনের শরীরে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে করোনায় মারা গেছে ১৩ জন।
এমন পরিস্থিতিতেই কঠোর লকডাউনের পরিকল্পনার কথা জানান সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট। তবে এ ঘোষণার পর রাতেই পার্লামেন্ট চত্বরের বিক্ষোভ থেকে তার পদত্যাগের দাবিতে আওয়াজ তোলা হয়।