মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেও যার পৃথিবী আলোকিত ছিল স্বামী ও আদরের দুই মেয়েকে নিয়ে। এখন তার পৃথিবীতে নেমে এসেছে ঘোর অন্ধকার। লাবণী। দুই মেয়ে হৃদি আর রায়ার মমতাময়ী মা। সরল মনের ও নরম স্বভাবের লাবণীর যে মুখে সব সময় হাসি লেগেই থাকত, অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা ভেবে ভেবে আজ তার মুখে শুধুই বিষাদ ভর করেছে।
কয়েক সপ্তাহ আগেই অস্বাভাবিক শারীরিক দুর্বলতা ও আরও কিছু উপসর্গ দেখা দিলে ৪৩ বছর বয়সে লাবণী চিকিৎসকের কাছে যান এবং বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসক জানান, তিনি বিরল রোগ টি-সেল লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত। কালক্ষেপণ না করে চিকিৎসক ঢাকায় তার কেমোথেরাপিসহ অন্যান্য চিকিৎসা শুরু করলেও কোনো আশানুরূপ ফল আসেনি। পরে জরুরি ভিত্তিতে ভারতে লাবণীকে চিকিৎসা করতে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন। কারণ, এই রোগের চিকিৎসা বাংলাদেশে সম্ভব নয়।
লাবণীকে নিয়ে তার স্বামী মুম্বাই শহরে যান। সেখানে ফোর্টিস হাসপাতালে একজন প্রসিদ্ধ ক্যানসার বিষেশজ্ঞ সুরেশ আদভানির পরামর্শ নেন। আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ডা. আদভানি নিশ্চিত করেন যে লাবণীর চিকিৎসা করতে অত্যন্ত ব্যয়বহুল একটি ওষুধের প্রয়োজন, যার নাম ‘আলেমটুজুমাব’, প্রতি সপ্তাহে ওষুধের খরচ পড়বে প্রায় সাড়ে ২৩ লাখ টাকা, আর পুরো চিকিৎসার জন্য ওষুধের খরচ পড়বে প্রায় আট কোটি টাকা, যা জোগাড় করা একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য অসম্ভব।
আমাদের মাঝে এখনো অনেক হৃদয়বান মানুষ আছেন, যারা চাইলেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন। আট কোটি টাকা অনেক বড় অঙ্কের অর্থ হলেও আমরা সবাই যার যা সামর্থ্য আছে, তা দিয়ে লাবণী আর তার পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পারি, যেন লাবণীর চিকিৎসা দ্রুত শুরু করা যায়।
চিকিৎসায় লাবণীর শরীর আশানুরূপ সাড়া দেয়নি বরং খুব দ্রুত তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছে। এ বিরাট অঙ্কের অর্থের জোগান না দিতে পারলে লাবণীর প্রাণ অকালে ঝরে যেতে পারে, সেই দুর্বিষহ চিন্তায় আজ তার পরিবার।
তাই আসুন, আমরা লাবণী ও তার পরিবারের পাশে দাঁড়াই। লাবণীকে সাহায্য পাঠাতে পারেন এই ঠিকানায়: জনতা ব্যাংক লিমিটেড, অ্যাকাউন্ট নম্বর : ২৩৫৬৫০৬, মোহাম্মদপুর ব্রাঞ্চ, অ্যাকাউন্ট নাম : ডা. মো. বদিউজ্জামান (লাবণীর খালু)। লাবণীকে বিকাশ করতে পারেন নাম : মো. বদিউজ্জামান (লাবণীর খালু), নম্বর : ০১৭৭৮৮৬৮৭০৯। নাফিসা শামীম হৃদি (লাবণীর বড় মেয়ে), নম্বর : ০১৭৩০৮৩৭৭৯৩।