শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফ।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এদেশিয় সহযোগিরা বেছে বেছে বাংলাদেশের মেধাবী সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। পারমানবিক বোমার মতো শক্তিশালী অস্ত্র কেবল একটি শহরকে ধ্বংস করে, কিন্তু মেধাবীদের হত্যা করলে একটি জাতি ধ্বংস হতে পারে। তাই স্বাধীন বাংলাদেশ যেন জ্ঞান ও প্রজ্ঞায় এগিয়ে যেতে না পারে সেজন্য বুদ্ধিজীবী হত্যা ছিলো পাকিস্তানিদের ঘৃণ্য একটি অপচেষ্টা। এর ফলে আমরা আমাদের শিক্ষা ও সংস্কৃতির ধারকদের হারিয়েছি। তাঁরা বেঁচে থাকলে দেশ অনেক এগিয়ে যেতো। নতুন প্রজন্মকে তাঁদের আদর্শ ধারণ করে দেশকে এগিয়ে নেয়ার কাজে আত্মনিয়োগ করতে হবে।
খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, অতিরিক্ত রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ নিজামুল হক মোল্যা, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলমগীর কবির ও সরদার মাহাবুবার রহমান।
সভায় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।