যশোরের শার্শায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কুতুবুল আলম (৭০) নামে এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আহত কুতুবুল আলমের ছেলে মাহাবুব আলম বাদী হয়ে শার্শা থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন। শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে শার্শা উপজেলার উলাশী ইউনিয়নের কন্যদাহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত কুতুবুল আলম শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি রয়েছে।
শার্শা থানায় দায়েরকৃত এজাহার সুত্রে জানা যায়, শার্শা উপজেলার কন্যাদহ গ্রামের আব্দুল মজিদ এর ছেলে মজনু মিয়া (৪৬), মৃত নুর বক্স এর ছেলে রইচ উদ্দীন (৫২), মজনু মিয়া এর ছেলে রান (২৪) ও রহমান (১৯), জামান উদ্দীন এর ছেলে সাকিব (২০), আলা উদ্দীন এর ছেলে শরিফুল ইসলাম (২৫), মৃত কেরামত আলীর ছেলে আব্দুল খালেক (৫৫) এর সাথে কুতুবুল আলম এর জায়গা জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলিয়া আসিতেছে। উক্ত বিরোধ নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে ৫টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে এবং উক্ত বিরোধ নিয়ে স্থানীয় ভাবে একাধিকবার মিমাংসার চেষ্টা করা হলেও আসামীগন তা না মানিয়া বিরোধীয় জমি জোর পূর্বক দখল করার জন্য বাদী পক্ষকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করিয়া আসিতেছে। শুক্রবার সকাল ৮ ঘটিকার সময় আসামীগন কন্যাদহ মৌজাস্থ খতিয়ান নং- ৪২৪ ও দাগ নং-১৭৪৮ ভোগদখলীয় জমিতে গিয়ে খুটি পুতিয়া জোর পূর্বক দখল করিতে থাকে। উক্ত বিষয়ে কুতুবুল আলম জানিতে পারিয়া উক্ত জমিতে গিয়ে আসামীদের খুটি পুতিতে নিষেধ করিলে আসামীগন অশ্লিল ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে। এসময় গালিগালাজ করিতে নিষেধ করিলে আব্দুল খালেক হুকুম দিয়ে বলে যে, ওকে জীবনের মতে শেষ করিয়া দে। তখন অন্যান্যরা কুতুবুল আলমকে এলোপাতাড়ি চড়, কিল, ঘুষি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোল জখম করে। মজনু মিয়া তার হাতে থাকা লোহার শাবল দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে কুতুবুল আলমের মাথা লক্ষ্য করিয়া আঘাত করিলে উক্ত আঘাত তার চোখের কোনায় লাগিয়া গুরুতর কাঁটা রক্তাক্ত জখম হয়
।
মারপিটের এক পর্যায়ে রান আহত কুতুবুল আলমের পরিহিত পঞ্জাবীর পকেটে থাকা নগদ ৭,৫০০/- টাকা নিয়ে নেয়।
পরিবারের সদস্যরা সংবাদ পাইয়া দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম অবস্থায় কুতুবুল আলমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে ভর্তি করে। বর্তমানে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মনিরুজ্জামান বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে থানায় একটি এজাহার দাখিল হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।