চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৭২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
শেখ হাসিনার জন্মদিনের প্রাক্কালে এক বার্তায় রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের জ্যেষ্ঠ এই কন্যাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, একটি রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম নেওয়া শেখ হাসিনা শৈশব থেকেই রাজনৈতিকভাবে সচেতন ব্যক্তি হিসেবে বেড়ে ওঠেন। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে যুক্ত হন। পাকিস্তানবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন তিনি।
আবদুল হামিদ বলেন, জাতির পিতার কন্যা হওয়া সত্ত্বেও তার জীবন কখনো মসৃণ ছিল না। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের বিয়োগান্তুক রাতে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির হাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্য শাহাদাত বরণ করেন। সে সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করায় এ বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড থেকে বেঁচে যান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, মা-বাবা, ভাই ও অন্যান্যদের হারিয়ে তারা দিল্লী ও লন্ডনে ৬ বছর খুবই দুঃখ-দুর্দশার মধ্যে প্রবাস জীবনযাপন করেন। পরে ১৯৮১ সালের ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় কাউন্সিলে সর্বসম্মতভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। বহু বাধা-বিঘ্ন অতিক্রম করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দীর্ঘ প্রবাস জীবন থেকে তিনি দেশে ফিরে আসেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, মাতৃভূমিতে ফিরে এসে শেখ হাসিনা দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন শুরু করেন। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর ১৯৯০ সালে স্বৈরাচারের পতন ঘটে এবং গণতন্ত্রের বিজয় সূচিত হয়। ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের সাধারণ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিজয় লাভ করে এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয়। সরকার গঠনের পর প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি এবং গঙ্গা পানিবণ্টন চুক্তি সই হয়। ২০০৮ সালে ২৯ ডিসেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে তার নেতৃত্বে ১৪ দল ক্ষমতায় আসে এবং জনগণের কল্যাণে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে। এই মেয়াদে বঙ্গবন্ধুর ঘাতকদের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়া হয়।
আবদুল হামিদ বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আবার ক্ষমতায় আসে। এই মেয়াদে যুদ্ধাপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় এবং ভারতের সঙ্গে দীর্ঘদিনের স্থল সীমান্ত সমস্যার সমাধান করা হয়। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে তার নেতৃত্বাধীন জোট বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আবার ক্ষমতায় আসে এবং ইতিহাস সৃষ্টি করে। এ নিয়ে শেখ হাসিনা পর পর তিনবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়ন ও অগ্রগতির দিকে এগিয়ে যাবে বলে রাষ্ট্রপতি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বাসস।