স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক দেশবাসীকে সরকারঘোষিত লকডাউন মেনে চলার অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন, আমরা চাই রোগীর সংখ্যা যেন না বাড়ে, রোগীর সংখ্যা কমাতে হলে সংক্রমণের সংখ্যা কমাতে হবে। সংক্রমণ কমাতে হলে সরকার যে লকডাউন ঘোষণা করেছে, লকডাউন মেনে চলার জন্য প্রধানমন্ত্রী যে আহ্বান জানিয়েছেন তা মেনে চলতে হবে।
তিনি বলেন, সংক্রমণ দশ জায়গা থেকে বাড়ছে, হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ছে। এভাবে সংক্রমণ অব্যাহত থাকলে হাসপাতালে জায়গা হবে না।
আজ রোববার (২৫ জুলাই) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বঙ্গমাতা ফজিলাতুননেছা মুজিব কনভেনশন সেন্টারে করোনা ফিল্ড হাসপাতাল তৈরির কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, ঢাকায় হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীর ৭৫ শতাংশ এসেছে গ্রাম থেকে। ঈদে গ্রামে যাওয়া আসার কারণে করোনা সংক্রমণ ৫ থেকে ৬ গুণ বেড়েছে।
তিনি বলেন, আপনারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন, ঘরে থাকুন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাবেন না। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, আজ ঢাকা শহরের বিভিন্ন রাস্তা ঘুরে দেখলাম- রাস্তাঘাটে প্রচুর লোক ঘোরাফেরা করছে, অনেকের মাস্ক পরা নাই, গাড়িতে ও মোটরসাইকেলে ঘুরছে। এতে লকডাউন ক্ষতিগ্রস্ত হবে, সংক্রমণ প্রতিরোধে বেশি সময় লেগে যাবে।
জাহিদ মালেক বলেন, করোনা সংক্রমণ অব্যাহত থাকলে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো দেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে, যা আমরা চাই না। এজন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই।
জাহিদ মালেক বলেন, করোনা এমন অবস্থায় নতুন সংকট তৈরি করেছে ডেঙ্গু। হাসপাতালের বারান্দায় প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তাদের অনেকেই হাসপাতালে এসে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে পড়ছেন। এই নাজুক পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার ডেঙ্গু রোগীদের জন্য সুনির্দিষ্ট হাসপাতালের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা নিচ্ছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসার জন্য পৃথক কয়েকটি হাসপাতাল প্রস্তুত করা হচ্ছে। এর মধ্যে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতাল, মিরপুরের লালকুঠি হাসপাতাল, সরকারি রেলওয়ে হাসপাতাল এবং টঙ্গীর আহসানউল্লাহ হাসপাতালসহ কয়েকটি হাসপাতালে শুধু ডেঙ্গুর চিকিৎসা হবে বলে তিনি জানান।
পরিদর্শনকালে বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম উপস্থিত ছিলেন।