‘ন ডরাই’ সিনেমার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রী সুনেরাহ কক্সবাজারে সমুদ্র সৈকতে গিয়ে যেন নিজের স্বর্গকে আবার ফিরে পেয়েছেন।
বুধবার (১৩ জানুয়ারি) সুনেরাহ নিজের ইনস্টাগ্রামে কয়েকটি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে এমনটাই জানালেন।
সুনেরাহ’র শেয়ার করা ছবিতে দেখা যায়, সমুদ্রসৈকতের বালুর ওপর পা ছড়িয়ে বসে রয়েছেন অভিনেত্রী। লাল টি-শার্টের সঙ্গে মাথায় হ্যাট পরে তাকিয়ে আছেন সমুদ্রের বিপরীতে।
ছবির সঙ্গে সুনেরাহ লিখে দিয়েছেন ‘ইন মাই ওন প্যারাডাইজ। ‘ অর্থাৎ ‘আমার নিজের স্বর্গে। ‘ এ বাক্য থেকেই বোঝা যায় সমুদ্র তার কতটা আপন। কিংবা সমুদ্র সুনেরাহকে আপন না ভাবলেও তিনিই সমুদ্রকে আপন করে নিয়েছেন, নিজের জগৎ করে নিয়েছেন। কেননা এই সমুদ্র তাকে অনেক কিছু দিয়েছে, অথচ সমুদ্রের নাকি শুধু নিয়ে যাওয়ারই কথা…। সুনেরাহর কাছে এই সমীকরণ উল্টো।
কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকত সুনেরাহ বিনতে কামালকে এনে দিয়েছে এ বছরের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এক তরুণী সার্ফারের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সুনেরা। পর্দায় ভেসে ওঠার জন্য দিন-রাত ভেসে থাকতে হয়েছে সমুদ্রে, গড়ে উঠেছে সমুদ্রের সঙ্গে সখ্য। যদিও এই তরুণ অভিনেত্রী বিভিন্ন সময় ন’ডরাই চলচ্চিত্রে কাজ করতে গিয়ে তার পরিশ্রমের কথা উল্লেখ করেছেন। নোনা পানির বিরুদ্ধে গিয়ে সার্ফিংয়ে অভ্যস্ত হতে হয়েছে। একসময় দর্শকরা এক লড়াকু তরুণীকে পর্দায় দেখতে পান।
সুনেরাহ জানেন, কেন এই সৈকত স্বর্গ, সেটা তার চেয়ে ভালো কেউ জানেন না। তাইতো কদিন আগে কণ্ঠশিল্পী জেফারের সঙ্গে কক্সবাজার গিয়ে সমুদ্রে লুটিয়ে পড়েছিলেন। আর ছবিগুলোও তুলে দিয়েছেন জেফার।
সুনেরাহ বলেছিলেন, ‘সমুদ্র আমার অনেক পছন্দ। সমুদ্রের কাছে গেলে আমি উদাসীন হয়ে যাই। ‘ কক্সবাজারে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘শুটিংয়ের সময়গুলো অসাধারণ কেটেছে। এখন অবশ্য অভিনয়টা নেশায় পরিণত হয়ে গেছে। শুটিং শেষে ঢাকায় এসে বসে থাকলে বিষণ্ণতায় ভুগি। দিন-রাত না ঘুমিয়ে শুধু অভিনয় করতে ইচ্ছা করে। ‘
সুনেরাহর শুরুটা নাচ শেখার মধ্য দিয়ে। মাত্র আড়াই বছর বয়সে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে নাচ শেখা শুরু করেন তিনি। এ ছাড়া থিয়েটারেও অভিনয় করেছেন। চলচ্চিত্র জগতে পদার্পণ করেন স্টার সিনেপ্লেক্স প্রযোজিত ছবি ন’ডরাইয়ের মাধ্যমে। আর প্রথম সিনেমাতেই বাজিমাত করেন তিনি।