এম.পলাশ শরীফ :: মোংলায় সরকারী একটি রেকর্ডিয় খাল দখল করে দোকান নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পেছনে ঠাকুরানী খালের শেষ প্রান্ত দখল করে রাতারাতি বেশ কয়েকটি দোকান বসিয়ে দিয়েছেন মোশারফ হোসেন খাঁন নামে প্রভাবশালী এক ব্যক্তি। তবে তিনি দাবি করেন-এটি রেকর্ডিয় খাল নয় ব্যক্তিগত জমি তার।
এদিকে উপজেলা প্রশাসন থেকে রেকর্ডিয় খালের ওপরে দোকান নির্মাণের অভিযোগই কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নয়ন কুমার রাজবংশি বলেন, সরকারী খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ পেয়ে শুক্রবার (২১ মে) ওই কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং একই সাথে কি বুনিয়াদে অবৈধভাবে এই স্থাপনা করা হচ্ছে, সেজন্য দোকান নির্মাণকারী মোশারফকেও তলব করা হয়েছে।
এদিকে শনিবার (২২ মে) সরেজমিনে ৭ নং কলেজ রোডস্থ মোংলা-মোড়েলগঞ্জ সড়কের পাশে ও সরকারী হাসপাতালের পিছনে গিয়ে দেখা যায় ওই খালের ওপর বেশ কয়েকটি দোকান নির্মাণের কাজ চলছে। স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ নাসির, আলতাব, এমাদুল, মিলন ও ফিরোজ সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, যে খালের ওপর দোকান নির্মাণ করা হচ্ছে এটি একটি প্রবাহমান খাল। ছোট বেলায় ওই খালে তারা অনেক মাছ ধরেছেন গোসলও করেছেন। কিন্তু গত দুই বছর ধরে দেখছি খালটির মালিক এখন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ট্রাফিক বিভাগের অবসারপ্রাপ্ত কর্মচারী মোশারফ হোসেন খাঁন। রাতারাতি দোকানপাট নির্মাণ করে ভাড়াও তুলছেন তিনি। এ কাজে তাকে কেউ বাধা না দেওয়ায় তিনি নতুন করে আরও বেশ কয়েকটি দোকানপাট নির্মাণ করছেন।
মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ জীবিতোষ বিশ্বাস অভিযোগ করে বলেন, সরকারী ওই খালটি দখল করে রাখায় আমাদের হাসপাতালের পয়ঃনিস্কাশনে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। ড্রেন দিয়ে হাসপাতালের বর্জ না নামায় মারাতœক ক্ষতিও হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে খাল দখলকারী মোশারেফ খাঁনকে ডেকে এ কাজ বন্ধ করাসহ তার বিরুদ্ধে এসিল্যান্ডের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন ডাঃ জীবিতোষ। এসিল্যান্ড এ ব্যাপারে ব্যবস্থার নেওয়ার কথা বলেছেন বলেও জানান তিনি।
জানতে চাইলে মোশারফ হোসেন খাঁন বলেন, যে খালটির ওপরে দোকান নির্মাণ করছি সেটি তার মালিকানার শেহালাবুনিয়া মৌজার জমি। এ ব্যাপারে স্যারের (এসিল্যান্ড) কাছে যাচ্ছি কোন সমস্যা নাই।
মালিকানা জমি হলে খালের ওপরে কালভার্ট কিভাবে হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন-“এটা ভাল কথা বলেছেন, তবে ওই কালভার্ট পর্যন্তই সরকারী বাকিটা আমার”।