চারদিকে জেঁকে বসেছে শীত। ঠাণ্ডায় গ্রামাঞ্চলে জবুথবু অবস্থা। জ্বর, সর্দি, কাশি নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলশ্রুতিতে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ওষুধের দোকান থেকে কফ-সিরাপ কিনে খাচ্ছেন অনেকে।
কিন্তু জানেন কী? এসব সিরাপের বহু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ প্রবণতায় খিঁচুনি, ঝিমুনি, ঘুম ঘুম ভাব, অস্বাভাবিক হৃৎস্পন্দন, কিডনি, যকৃতের সমস্যাসহ নানা ক্ষতি হতে পারে।
তাই হুট করে কাশির সিরাপ খাওয়া বন্ধ করুন। এতে হাইড্রোকার্বন থাকে। মূলত বুকব্যথা ও খক খক কাশি কমাতে এটা ব্যবহৃত হয়। হাইড্রোকার্বন এক ধরনের মাদক, যা শরীরের স্বাস্থ্যের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর।
সিরাপের মরফিন স্নায়ু ও পেশি শিথিল করে। এফিড্রিনের কারণে শ্লেষ্মা শুকিয়ে যায়। চিকিৎসকরা বলছেন, খুব প্রয়োজন না হলে ফ্যানের বাতাস খাওয়া যাবে না। এসিও বন্ধ রাখুন।
সর্দি-কাশি হলে যা করবেন-
# গরম পানি-চা পান করুন, ভেপার নিন, গার্গল করুন। এসব করলে ভাইরাসের সংক্রমণ কমবে। সেটার কর্মক্ষমতা নষ্ট হবে। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। এতে কফ পাতলা হবে।
# শুকনো কাশি হলে কিংবা গলা খুশ খুশ করলে হালকা গরম পানিতে একটু লবণ দিয়ে কুলকুচি করুন। মুখে কোনো লজেন্স, লবঙ্গ বা আদা রাখলে আরাম পাবেন।
# হাঁপানি ও অ্যালার্জির রোগীরা সাবধান থাকুন। কারণ, এখন আবহাওয়া আর্দ্র থাকবে। কনকনে ঠাণ্ডা পড়বে। তাই নিয়মিত মধু-হলুদ খান।
# এসময় হাঁপানির জটিলতা বাড়ে। ইনহেলার পাশে রাখুন। বিশেষ করে বয়স্করা। বাড়িতে তৈরি করুন উদ্ভিজ্জ চা। ব্যবহার করুন তুলসী- তেজপাতা, লেবু, কমলা, তেঁতুল, আদা, লবঙ্গ, আমড়া, আমলকির নির্যাস।
# বাচ্চা থেকে বয়স্ক সবাই বারবার রসুন-পেঁয়াজ খান। এতে থাকা অ্যারোমা শ্বাসযন্ত্রকে ভেতর থেকে পরিষ্কার রাখে। সেই সঙ্গে সাইনাসের সমস্যা দূর করে। আর হ্যাঁ, গরম কাপড়-চোপড় পরতে ভুলবেন না।