তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট শেখ হাসিনার আগ্রহে তৈরি হয়েছে। সাংবাদিকদের সহায়তায় স্থায়ী ব্যবস্থাপনার জন্য তিনি এই ট্রাস্ট করে দেন। বর্তমানে এটি সাংবাদিকদের ভরসার জায়গায় পরিণত হয়েছে। এর মাধ্যমে এপর্যন্ত সাংবাদিকদের মাঝে ২২ কোটি টাকা দেয়া সম্ভব হয়েছে। জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনার গঠন করা ট্রাস্ট সব দলমতের সাংবাদিকদের জন্য অবারিত। তিনি বলেন, আমি সাংবাদিকের দৃষ্টিতে তাঁদের সমস্যাগুলো দেখার চেষ্টা করি। অষ্টম ওয়েজ বোর্ড যারা বাস্তবায়ন করবেন না, তারা সরকারি ক্রোড়পত্র পাবেন না।
মন্ত্রী আজ (শুক্রবার) বিকেলে খুলনা প্রেসক্লাবের শহিদ শেখ আবু নাসের ব্যাংকুয়েট হলে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকদের কল্যাণে শেখ হাসিনাই কাজ করেছেন। অন্যান্য সরকারের আমলে সাংবাদিকরা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। গণমাধ্যমকর্মী আইন বাস্তবে রূপ পেলে সাংবাদিকরা সত্যিকার সুরক্ষা পাবেন। গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, আপনাদের লেখনি দেশ ও সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে। বিশে^ আয়তনে ৯২তম ও অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। করোনা প্রতিরোধে এপর্যন্ত দেশে ২৫ কোটি ডোজ টিকা প্রদান সম্পন্ন হয়েছে। মুজিববর্ষে লাখো ভূমিহীন-গৃহহীনকে প্রধানমন্ত্রী জমিসহ পাঁকা ঘর উপহার দিয়েছেন। করোনায় দেশে হাহাকার হয়নি, কেউ অভুক্ত থাকেনি, বরং এই সময়ে মাথাপিছু আয়ে আমরা ভারতকে ছাড়িয়ে গিয়েছি। এই কথাগুলো মানুষের কাছে তুলে ধরা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মহাপরিচালক সুভাষ চন্দ্র বাদল, বিএফইউজের মহাসচিব দ্বীপ আজাদ, জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার ও প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ফারুক আহমেদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিয়াজ।
অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাষ্ট হতে চিকিৎসা সহায়তা হিসেবে ৩২ জনকে এবং করোনাকালীন আর্থিক প্রণোদনার অংশ হিসেবে ৮৬ জন সাংবাদিককে আর্থিক সহায়তার চেক প্রদান করা হয়।