প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদাকে গণতন্ত্রের হত্যাকারী ও ঘাতক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচন কমিশনের যৌথ প্রযোজনায় চট্টগ্রামে আরেকটি প্রহসনের নির্বাচন হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রিজভী বলেন, চূড়ান্ত পর্যায়ে তামাশা হচ্ছে। ভোটাররা যেন কেন্দ্রে যেতে না পারে সেজন্য সব ধরনের মেকানিজম করা হয়েছে। দিনের ভোট রাতে হয়।
বুধবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব মো. আলমগীরের কাছে ১৯টি লিখিত অভিযোগ দেওয়া শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনরা ভোটারদের ভোটাধিকার মনেপ্রাণে ঘৃণা করে। জালিমশাহের নির্বাচন নমরুদ-ফেরাউনের আমলকেও হার মানিয়েছে। এ দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতন্ত্রের হত্যারকারী ঘাতক হচ্ছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং হুকুমের আসামি সরকারপ্রধান।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, প্রশাসন ও দলীয় কর্মী মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। ভোটের আগে দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। চূড়ান্ত পর্যায়ে তামাশা হচ্ছে। ভোটাররা যেন কেন্দ্রে যেতে না পারে সেজন্য সব ধরনের মেকানিজম করা হয়েছে। প্রশাসন ও দলীয় কর্মী মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, এই সিইসি গণতন্ত্রের হত্যাকারী। বর্তমান সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন সুষ্ঠু নির্বাচন অচেনা হয়ে থাকবে।
চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে অভিযোগ জানায় বিএনপির প্রতিনিধি দল। রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বুধবার দুপুরে কমিশন সচিবের সঙ্গে দেখা করে লিখিত আভিযোগ জানায়।
বিএনপির অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, সকালে ভোট শুরু হওয়ার পর থেকেই সব ভোটকেন্দ্র থেকে ধানের শীষের এজেন্টদের বের করে দিয়েছে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন। এদের সহযোগিতা করেছে পুলিশ। ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা বিএনপির এজেন্টদের কোনো কেন্দ্রেই ঢুকতে দেননি। ভোটের দিন সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে প্রায় ৫ শতাধিক কেন্দ্র প্রশাসনের সহযোগিতায় আওয়ামী লীগ দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।