সামস মুকুলঃ রুনা লায়লার গাওয়া এই গানটি থেকে আমাদেরও খুব জানতে ইচ্ছে করে “সুখ” নামের সোনার হরিণটি আসলে কি?
“সুখ” হলো মানুষের মনের এমন একটা ” মিষ্টি অনুভূতি” যা তার মনকে “আনন্দের সাগরে” ভাসিয়ে দেয়। সাধারণত মানুষের মনের “সুপ্ত বাসনা” যখন “বাস্তবে ধরা দেয়” বা সহজ কথায় বলা যায়, মানুষ যা চায় তা যখন পেয়ে যায়, ঠিক তখনই মানুষের মনে “সুখানুভূতি” জেগে ওঠে।
বলা প্রয়োজন যে “সুখ” কিছুতেই “সাময়িক আনন্দ উল্লাস” জাতীয় কোনো ব্যাপার নয়। আনন্দ উল্লাসেও সুখানুভূতি জেগে ওঠে সত্য, তবে তা “ক্ষণস্থায়ী” বলে তাকে “সুখী হওয়া” বলা যায়না।
“সত্যিকারের সুখী মানুষ” হওয়ার সাথে “দায়িত্বশীলতা”র প্রশ্নটি এসে যায়। অর্থাৎ, খুব ছোটবেলা থেকেই প্রাত্যহিক জীবনপথ একটি পরিপাটি, সুন্দর এবং পরিচ্ছন্ন রুটিন অনুযায়ী পরিচালিত করা, দায়িত্ববোধের সাথে নিজ কর্তব্য পরিকল্পিতভাবে সমাধা করা, লক্ষ্য পূরণে অবিচল থাকা, নিজের চিন্তা এবং মননে উদারতা, সততা ও নিষ্ঠার বীজ বপন করা অর্থাৎ এককথায় মানবিক কিছু গুণাবলী অর্জনের মাধ্যমেই মানুষের জীবনে যে “মাধুর্য” চলে আসে তাই হচ্ছে “প্রকৃত সুখ” যা সাধারণত মানুষের “জীবনকালব্যাপী” স্থায়ী হতে দেখা যায়।
কিন্তু দু:খজনক যে, আজকালকার যুগে সুখের নামে যে “অপচর্চা” চলছ অর্থাৎ, বন্ধুত্বের নাম করে “লাগামহীন বেলেল্লাপনা, হৈ চৈ, আড্ডাবাজী, এগুলোকে কিছুতেই “সুখ” বলা যায়না। “পাপাচারে নিমজ্জিত এসব কুরুচিপূর্ণ” বিষয় আসলে “মহামারী আকারের অসুখ” যা গোটা সমাজকে “গ্রাস” করে ফেলেছে।
আমার প্রশ্ন হলো, হৈ চৈ, আড্ডবাজী, সীমাহীন ফুর্তিতে নিমজ্জিত ছেলেমেয়েরা যখন পরীক্ষায় “নিম্নশ্রেণীর ফলাফল” করে বসে এবং সেই “তিন নম্বরী সার্টিফিকেট” নিয়ে যখন কোথাও আর “ঠাঁই” হয়না, তখন তাদের সেই “কথিত সুখ” কোথায় গিয়ে ঠেকে?
সুতরাং, চিনতে হবে এবং জানতে হবে “কোথায় রয়েছে আসল সুখ?”