মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত বেসামরিক নেত্রী অং সান সুচির বিরুদ্ধে প্রথম মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। এতে তাকে অভিযুক্ত করে চার বছরের জেল দেয়া হয়েছে। আজ সোমবার রাজধানী ন্যাপিডতে স্থাপিত আদালত তার বিরুদ্ধে এ রায় দিয়েছে।
সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উস্কানি দেয়া এবং করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে রায় দেয়া হলো। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা। গত পহেলা ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সুচিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর তার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ এনেছে সামরিক জান্তা। গত সপ্তাহে এ মামলার রায় দেয়ার কথা থাকলেও তা বিলম্বিত করা হয়।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অংসান সুচির বিরুদ্ধে সামরিক জান্তা দায়ের করেছে প্রায় এক ডজন মামলা। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে সেগুলো হলো দুর্নীতির বহুবিধ অভিযোগ, রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইনের লংঘন, টেলিযোগাযোগ আইন লংঘন। যদি অভিযোগগুলোতে তিনি অভিযুক্ত হন তাহলে সব মিলিয়ে তার সর্বোচ্চ এক শতাব্দীর বেশি সময় কারাদণ্ড হতে পারে। অংসান সুচি তার বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেছেন, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দেয়ার জন্য সামরিক জান্তার পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ আনা হয়েছে। পক্ষান্তরে সামরিক জান্তা জানিয়েছে, অং সান সুচির বিচার হচ্ছে নিরপেক্ষ আদালতে। তার প্রশাসন নিয়োগ দিয়েছিল এমন একজন বিচারক এ মামলা পরিচালনা করছেন।
আজকে মামলার রায় দেয়ার সময়আদালতে অনুমোদন দেয়া হয়নি কোনো মিডিয়াকে। এমনকি সামরিক তথ্যবিষয়ক আউটলেট থেকে এ মামলার প্রক্রিয়ার বিষয় উল্লেখ করা হয়নি। উল্লেখ্য সাংবাদিক বা প্রকাশ্যে বিচার নিয়ে যোগাযোগ বা কোনো মন্তব্য করতে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে অং সান সুচির আইনজীবীদের বিরুদ্ধে।