চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃউপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার বলেছেন, সুন্দরবন আর জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্যই বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে পরিচিতি লাভ করেছে। কারণ বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ভাষন সারা বিশ্বের মানুষ জানে এবং আমাদের ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন বিশ্বের কাছে পরিচিত। বিশ্ববাসী জানে বাংলাদেশে সারাদেশের মানুষের দেখার মতো একটি জায়গা সেটা হলো আমাদের সুন্দরবন। তিনি বলেন, এ বনকে বাঁচানোর জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন, যাতে এ বনের বনজ সম্পদ, মৎস্য সম্পদ, বন্যপ্রাণি ও এর জীব বৈচিত্র্য রক্ষা করা যায়। তিনি দেশ, দেশের মানুষ, প্রকৃতির সৃষ্টি সুন্দরবন ও বনের জীব বৈচিত্র্যকে রক্ষার আহ্বান জানান।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জয়মনির ঘোল বিশ্ব জলাভূমি দিবসের এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার একথা বলেন। দিবসটি উপলক্ষে এক বর্নাঢ্য র্যালির আয়োজন করে বন অধিদপ্তরের বন্য প্রাণিসংরক্ষণ বিভাগ। র্যালিটি বাজারের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ শেষে জয়মনি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এসে শেষ হয়। পরে খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মোঃ মঈনুদ্দিন খানের সভাপতিত্বে আলোচন সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জলাভূমি সংরক্ষণ ও এর বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করেন খুলনা বিশ্ব বিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি এবং উডটেকনোলজি ডিসিপ্লিন বিভাগের অধ্যাপক মোঃ ওয়াসিউল ইসলাম। এছাড়া খুলনা অঞ্চলের বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের ডিএফও মোঃ মদিনুল আহসান, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ বসিরুল আল মামুন, বন কর্মকর্তা মোঃ বেলায়েত হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রাহাত মান্নান, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল হোসেন, চাঁদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ এনামুল হক, অধ্যক্ষ মোঃ গোলাম সরোয়ার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম হোসেন, সিএমসি সভাপতি গাজী জহিরুল হক, মুক্তিযোদ্ধা ফকির আবুল কালাম আজাদ, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইস্রাফিল হোসেন, মোল্লা তরিকুল ইসলাম, নিখিল চন্দ্র রায়সহ বন বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারী ছাড়াও জয়মনি মাধ্যমিক ও প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে বন্যপ্রাণি সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে উদ্ধার করে সংরক্ষণ ও বনে অবমুক্ত করার জন্য দুই জনকে পুরস্কৃত করেন উপমন্ত্রী।