বাগেরহাটের রামপাল হতে সুন্দরবনে শূটকি আহরনের জন্য প্রতি বছরের মত এ বছর ও ৮ শতাধিক জেলে যাচ্ছে। গত ০৪ নভেম্বর থেকে জেলেরা সুন্রবনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে। জানা গেছে সুন্দরবনে জেলেদের প্রতিকূল আবহাওয়া ঝড়ঝঞ্চা সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে ছুটতে হয়। জেলেরা শত প্রতিকূলতা মাথায় নিয়ে প্রতি বছরের মত এ বছর ও মৎস্য আহরনের জন্য দুবলার চরে জেলে পল্লীতে আশ্রয় নিয়েছে। সুদে কারবারিদের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ গ্রহন, জলদস্যুদের আক্রমন, বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋন গ্রহন সহ নানাবিদ সমস্যা জর্জরিত জেলেদের এক সংগ্রামী জীবন শুরু হতে চলেছে মৎস্য আহরনের মধ্য দিয়ে। চলতি বছরে শুটকি আহরনে রামপাল উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন হতে প্রায় ৮শতাধিক জেলে দুবলার চরে গিয়ে পৌছিয়েছে। স্থানীয় জেলেরা জানান পেশা হারানোর ভয়ে বাপ দাদার ব্যবসাকে আকড়ে ধরে আছেন তারা। উচ্চ হার সুদে মহাজনদের কাছ থেকে ঋন নিতে হয়েছে তাদের। ব্যাংক এবং এনজিও থেকে ঋন নিতে নানাবিদ ঝামেলা হওয়ায় অশিক্ষিত অর্ধশিক্ষিত জেলেরা মহাজনদের পিছনে ছোটেন। এছাড়া প্রতিকূল আবহাওয়া, বনদস্যুদের দৌরাত্ব অসাধু মহাজনের কাছে মাছ বিক্রয়ে সঠিক মূল্য না পাওয়া সহ নানামূখী জটিলতায় পড়তে হয় জেলেদের। এ সব চ্যালেঞ্জ মাথায় নিয়ে একটু ভালো থাকার আশায় জেলেদের ৬ মাসের জন্য এক সংগ্রামী জীবন শুরু হয়। সমুদ্র গামী কয়েকজন জেলে জানান আমাদের এই করুন কাহিনী কেউ শুনতে চায় না। অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ব ও বনদস্যুদের চাপ না থাকলে এবং কাঙ্খিত মাছ আহরন করতে পারলে এ পেশা ধরে রাখা সম্ভব। সমুদ্রগামী জেলে সমিতির নের্তৃবৃন্দরা আসন্ন মৎস্য আহরন মৌসুমে জেলেরা যাতে নির্বিগ্নে মৎস্য আহরন ও শুকাতে পারে সে ব্যাপারে সংশ্লিস্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।