ক্রীড়া ডেস্কঃব্যাটিংয়ে চরম ব্যর্থতা ও খামখেয়ালিপনার সঙ্গে গা ভাসিয়ে দিলেন না মুশফিক। ১১৭ রানেই ছয় উইকেট পড়ে ৩১ ওভার পাঁচ বলে। বাংলাদেশের ইনিংস বুঝি ২০০-র নিচে থেমে যাবে এমন আশঙ্কায় ছিল তখন। এমন পরিস্থিতি সামাল দিলেন মুশফিক। সপ্তম উইকেটে ৮৩ বলে ৮৪ রানের মহামূল্যবান একটি জুটি গড়লেন তিনি। এ জুটির ওপর ভর করে আট উইকেটে ২৩৮ রান তোলে বাংলাদেশ। ৯৮ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশফিক।
ক্রিকেটে জুটি সবচেয়ে বড় কথা। প্রেমাদাসায় তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সেই জুটির অভাবে ম্লান ছিল বাংলাদেশের ব্যাটিং চিত্র। ২৬ রানে ওপেনার সৌম্য সরকার বিদায় নেন। দ্বিতীয় উইকেট থেকে আসে মাত্র পাঁচ রান। এরপর ২১, ১৬, ২০, ২৯ এই ছিল ব্যাটিং জুটি টাইগারদের। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতনের কারণে ২৮ ওভারে একশ রান তোলে বাংলাদেশ। বর্তমান যুগে ওয়ানডেতে যা একেবারেই বেমানান।
এ ভেন্যুতেই দুইদিন আগে ৯১ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। মালিঙ্গা উত্তর প্রথম ওয়ানডে ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য সিরিজ বাঁচানোর লড়াই। টস ভাগ্যে জিতে তামিম ব্যাটিং নিলেন সে লক্ষ্যে। তবে অধিনায়ক নিজেই ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিলেন। ১১ রান করে সৌম্য ফেরার পর ১৯ রানে ফেরেন টাইগার অধিনায়ক। অভিজ্ঞ মুশফিকের সঙ্গে তখন যে কেউ বড় জুটি গড়লে রানের চাকা সচল থাকে কিন্তু মুশফিকের সঙ্গীরা ক্রিজে জমে গিয়েও ভুল করেন। তাদের ব্যাটিং দীনতায় ৮৮ রানে পাঁচ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। হাস্যকরভাবে রানআউট হন সাব্বির।
এমন বিপদের দিনে দলের জন্য বড় ইনিংস খেলার সুযোগটা হাতছাড়া করে বসেন মোসাদ্দেক। এতে ধ্বংসস্তূপে পৌঁছে যায় টিম বাংলাদেশ। আর মিস্টার ডিপেন্ডেবল এমন সময়েই দলকে বাঁচাতে পছন্দ করেন বেশি। আজো করলেন। লঙ্কান বোলারদের বিপক্ষে একা লড়াই করলেন। সঙ্গী হিসেবে মিরাজের সঙ্গে চমৎকার জুটি গড়েন তিনি। তাদের দুরন্ত জুটিতে সপ্তম উইকেটে ২০০ রান পার করে বাংলাদেশ। ৪৯ বলে ছয়টি চারে ৪৩ রান করে আউট মিরাজ।
তবে শেষ পর্যন্ত ক্রিজে ছিলেন মুশফিক। ১১০ বলে ছয়টি চার ও এক ছক্কা মারেন তিনি। মাত্র দুই রানের জন্য সেঞ্চুরির আক্ষেপ করতে হয়েছে তাকে। লঙ্কানদের পক্ষে উদানা, প্রদীপ ও দনাঞ্জয়া প্রত্যেকেই দুটি করে উইকেট নেন।