চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃনগরীর মীরেরডাঙ্গা শিল্পাঞ্চলের ব্যক্তি মালিকানা সোনালী জুট মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিলটি আর্থিক সংকট দেখিয়ে শর্ত সাপেক্ষে চুক্তিতে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার দায়িত্ব দেন মেসার্স রাসেল এন্টারপ্রাইজকে।
২০১৬ সালের ১৩ নভেম্বর প্রতিষ্ঠানের এমডি এস এম ইমদাদুল হক বুলবুল এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে মালিক পক্ষ কয়েক দফা চুক্তিভিত্তিক মালিকানা পরিবর্তন করে সর্বশেষ মিলটি চালুর জন্য পুরবী ট্রেডিং-এর সাথে চুক্তি করেন।
দফায় দফায় মলিকানা পরিবর্তন হলেও ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয়নি মিলের শ্রমিকদের, হয়নি মজুরিসহ বকেয়া পাওনার পরিশোধের কোন সমাধান। গত ঈদুল আযহার আগে হঠাৎ করে মিলের ডিজিএম এবং সিবিএ যোগসাজসে রাসেল এন্টারপ্রাইজকে মিল থেকে বের করে দিয়ে পূরবী জুট ট্রের্ডিং-কে পরিচালনার জন্য নতুন দায়িত্ব দেয়া হয়। এরপর পুরবী ট্রেডিং মিলটি নামমাত্র চালু রেখে গত ১৫ ডিসেম্বর রাতের অন্ধকারে বন্ধ করে দেয়। মিলটি বন্ধ করে দিলে শ্রমিক অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ায় গত ১৮ ডিসেম্বর শ্রম পরিচালক, পুরবী ট্রের্ডিং এবং সিবিএ মধ্যে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে পুরবী ট্রেডিং ২১ ডিসেম্বর মিলটি চালুর আশ্বাস দেয়। কিন্তু মিলটি চালু না করে সিবিএ নেতাদেরকে পুরবী ট্রেডিং-এর হেড অফিসে ডেকে নিয়ে ২৩ ডিসেম্বর চালুর প্রতিশ্র“তি দেয়। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার কেটে গেল আরেকটি দিন।। মিলটি চালু না করে পুরবী ট্রের্ডিং নানা টালবাহানা করায় শ্রমিকদের মধ্যে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে মিলের ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নাজিউর রহমান নজরুল বলেন, পুরবী ট্রের্ডিং রাতের অন্ধকারে মিলটি বন্ধ করে দিয়েছে। মিলটি চালুর কথা থাকলেও মিল চালু না করে বিভিন্ন অজুহাতে মিলটি বন্ধ করে রেখেছে।
তিনি আরো বলেন, পুরবী ট্রের্ডিং মিলটি আর না চালানোর পরিকল্পনার পাশাপাশি শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধ না করে কৌশলে মিল থেকে মালামাল বের নেয়ার চক্রান্ত করছে। তিনি বলেন ইতোমধ্যে বিষয়টি অবহিত করে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি, খুলনা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে পুরবী ট্রেডিং-এর স্বত্বাধিকারী ওহিদুজ্জামান মিথুনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়।