শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে স্ত্রী দিপ্তি গোলদার নামে এক এনজিও কর্মীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার দায়ে পরিতোষ গাইন নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) গোসাইরহাট উপজেলার ধীপুর গ্রামের ভাড়াবাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে আত্মহননকারী দিপ্তির বড় ভাই বাদী হয়ে পরিতোষের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে গোসাইরহাট থানায় মামলা করেছেন।
গ্রেফতার পরিতোষ গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়ার শ্রীফলবাড়ি গ্রামের মৃত ঠাকুর চাঁদ গাইনের ছেলে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, গোপালগঞ্জ জেলার রাজৈর থানার কদমবাড়ি গ্রামের ধন্য গোলদারের মেয়ে দিপ্তি ৫ থেকে ৬ বছর যাবত একটি এনজিওতে চাকরি করে আসছেন। ১ বছর দুই মাস আগে পরিতোষের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় দিপ্তির। স্ত্রী গোসাইরহাট শাখায় কর্মরত থাকায় স্থানীয় শামীম হাওলাদারের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তারা।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, দিপ্তির স্বামী পরিতোষ গত বছরের জুন মাসে গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়ার মাদারগঞ্জ গ্রামের রিতা ওঝা নামে অন্য এক তরুণীকে বিয়ে করেন। ঘটনার দিন বুধবার রাত দেড়টার দিকে স্বামী পরিতোষের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয় দিপ্তির। এ সময় পরিতোষ শারীরিক ও মানষিকভাবে অত্যাচার করে দিপ্তিকে। পরে অত্যাচার সইতে না পেরে রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে জানালার গ্রিলের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে দিপ্তির রুমের দরজা বন্ধ দেখেন পরিতোষ। এ সময় দরজা ধাক্কা দিতে থাকেন তিনি। পরে মোবাইলে কল দিয়ে যোগাযোগ করতে না পেরে জানালা দিয়ে দেখেন গ্রিলের সঙ্গে ঝুলে আছেন দিপ্তি।
পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় গোসাইরহাট থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে দিপ্তির মরদেহ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠায়।
পরে ওই রাতেই দিপ্তির বড় ভাই বাদী হয়ে পরিতোষকে আসামি করে গোসাইরহাট থানায় আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা করেন। শুক্রবার পরিতোষকে আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
গোসাইরহাট থানার ওসি মো. মাকসুদ আলম জানান, আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে একটি মামলা নেওয়া হয়েছে। মামলায় পরিতোষকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।