‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২১’ পাচ্ছেন গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার ও নাট্য ব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান। জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এই সম্মাননা পাচ্ছেন তারা। এ দুজন ছাড়াও ৭ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে এবার স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।
গাজী মাজহারুল আনোয়ার এদেশের একজন জীবন্ত কিংবদন্তি। ১৯৬৪ সাল থেকে তিনি তৎকালীন রেডিও পাকিস্তানে গান লেখা শুরু করেন। এখন পর্যন্ত রচিত গানের সংখ্যা ২০ হাজারেরও বেশি। তার গানে সবসময় উঠে এসেছে মুক্তিযুদ্ধ, দেশপ্রেম, প্রকৃতি, জীবনবোধ, প্রেম, বিরহ, স্নেহ, অনুভূতির কথা।
গাজী মাজহারুল আনোয়ার
১৯৬৫ সালে চলচ্চিত্রে যুক্ত হন গাজী মাজহারুল আনোয়ার। এরপর গানের সঙ্গে শুরু হয় চিত্রনাট্য, সংলাপ ও কাহিনি রচনা লেখা। গীতিকার হিসেবে পেয়েছেন ৫ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
এছাড়াও ২০০২ সালে একুশে পদক, ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্ট স্বর্ণপদক, এস এম সুলতান স্মৃতি পদক, একাধিকবার বাচসাস পদকসহ অসংখ্য সম্মাননা রয়েছে তার ঝুলিতে।
অন্যদিকে এদেশের মঞ্চ জগতের কিংবদন্তি আতাউর রহমান। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তি তিনি। মঞ্চের জন্য লিখেছেন, নির্দেশনা দিয়েছেন ও অভিনয়ও করেছেন।
আতাউর রহমান
নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সভাপতি, ‘বাংলাদেশ সেন্টার অব দ্য ইন্টান্যাশাল থিয়েটার ইন্সটিটিউটের চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেন।
একুশে পদকজয়ী আতাউর রহমান গত ৫০ বছরে তিন ডজনের মতো মঞ্চ নাটক নির্দেশনা দিয়েছেন, ২ হাজার প্রদর্শনীতে অভিনয় করেছেন।