চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ নড়বড়ে ভিত ও দুর্বল কাঠামোর কারণে খুলনায় হস্তান্তরের আগেই ভেঙে পড়েছে ভূমিহীনদের জন্য গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের ৪৯টি ঘর। বুধবার রাতে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেলে পানির তোড়ে এসব ঘর ধসে পড়ে। এখানকার বাসিন্দারা জানান, নিন্ম মানের উপকরণ দিয়ে ঘরগুলো তৈরি। ফলে পানিতে ঘরের নিচ থেকে বালু সরে গেলে মুহূর্তেই এগুলো ধসে পড়ে। জানা যায়, ভূমিহীনদের আবাসনের জন্য খুলনার বটিয়াঘাটা মাথাভাঙ্গা গুচ্ছগ্রামে ১৪০টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। আধাপাকা টিনের প্রতিটি ঘরের জন্য বরাদ্দ দেড় লাখ টাকা। বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, ঘরগুলোর ভিত খুবই নাজুক। নড়বড়ে কাঠামোর ঘরে নিন্ম মানের বালু ও সিমেন্ট ব্যবহার করায় তা মজবুত হয়নি। এ ছাড়া ঘরের টিনগুলো লোহার অ্যাঙ্গেল দিয়ে ঠিকমতো লাগানো হয়নি। যেনতেনভাবে করা এসব কাজে বাধা দিলেও ঠিকাদার কর্ণপাত করেননি। ফলে পানির তোড়ে নিচ থেকে বালু সরে ঘরগুলো ধসে পড়ে। সরেজমিনে দেখা যায়, গুচ্ছগ্রামের অধিকাংশ ঘরের মেঝে, সিঁড়ি ও দেয়াল পানিতে ধসে পড়েছে। কয়েকটি ঘর পুরোপুরি ভেঙে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। বারান্দার পিলারে কোনো রড না থাকায় তা মাঝ দিয়ে ভেঙে টিনের সঙ্গে ঝুলছে। লোহার দরজাসহ দেয়ালের কিছু অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে কয়েকটি ঘরের। স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, ঝড়ের সময় ঘরগুলোয় কেউ থাকলে ভয়াবহ হতাহতের ঘটনা ঘটত। ঠিকাদার সাইফুল ইসলাম বলেন, ওপরে ও চারপাশে টিন দিয়ে এসব ঘর তৈরির কথা ছিল। কিন্তু প্রকল্প কর্মকর্তাদের নির্দেশে টেকসই করতে একই টাকায় টিনের বদলে ইটের দেয়াল দেওয়া হয়। এ ছাড়া ঘরগুলো নির্মাণের পর এখানে অতিরিক্ত একটি মসজিদও করে দেওয়া হয়েছে।
বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ভূমিহীনদের জন্য নির্মিত এসব ঘর এখনো হস্তান্তর করা হয়নি। তিনি বলেন, ঘরগুলো মজবুতভাবেই তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু বেড়িবাঁধ ভেঙে গেলে পানির তোড়ে ঘরগুলোর নিচ থেকে বালু সরে যায়। এ কারণে এগুলো ধসে পড়েছে।