চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ হাইয়েস গাড়িতে পুলিশের স্টিকার লাগিয়ে ঢাকা থেকে রাজশাহীতে এসে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন ১৩ ব্যক্তি। তারা সকলেই রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় থাকতেন। রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে রাজশাহী মহানগরীর নওদাপাড়ায় তাদের আটক করা হয়।
এ সময় পৃথক দুই ট্রাকে ঢাকা থেকে আসা আরও ১১ ব্যক্তিকে নামানো হয়। তারাও সবাই ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতেন। তিনটি পৃথক দলে ঢাকা থেকে রাজশাহীতে আসা ওই ২৪ ব্যক্তিকে আটকের পর সকলের নাম-ঠিকানা, ছবি সংগ্রহ পূর্বক নিজ এলাকার পুলিশের মাধ্যমে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় স্থানীয়ভাবে লকডাউন ঘোষিত হলেও নানা কৌশলে মানুষের যাতায়াত অব্যাহত রয়েছে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা এমনকি করোনা সংক্রমণের ভয়ও তাদের আটকাতে পারছে না। তারা প্রশাসন ও পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করছে। রবিবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা হয়ে পুঠিয়া ফেরত একব্যক্তির করোনা সংক্রমণ নিশ্চিত হলে মানুষের যাতায়াত ঠেকাতে তৎপর হয় রাজশাহী পুলিশ।
পুলিশের এক সদস্য জানান, ঢাকা থেকে বিভিন্ন জরুরি পরিবহনে লোকজন রাজশাহী আসছেন। আগতদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে পুলিশ রাস্তায় তল্লাশি করছে। এত তল্লাশির পেরিয়ে এরা কীভাবে এতো পথ আসছেন, এটি বোধগম্য নয়।
রাজশাহী গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহবুব হাসান বলেন, রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে রাজশাহীর নওদাপাড়ার রাস্তার ধারে পাঁচ ব্যক্তিকে দেখে পুলিশের এক সদস্য জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তিনি জানতে পারেন, তারা ঢাকা থেকে ট্রাকে এসেছেন। কয়েক মিনিট পর আরেক ট্রাকে আসেন আরও ছয় ব্যক্তি। তারাও ঢাকা থেকে এসেছেন। এর কিছুক্ষণ পর একটি হাইয়েস গাড়ি আসে। ওই গাড়ির পেছনে স্টিকারে লেখা ‘পুলিশ’। ওই সময়ে ওই রাস্তা দিয়ে পুলিশের এধরণের কোনো গাড়ি আসার কথা নয়। পরে গাড়ি থামিয়ে দেখা যায়, ভেতরে ১৩ নারী-পুরুষ। সবাই ঢাকা থেকে এসেছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। পরে সিদ্ধান্ত হয়, তাদের নাম-পরিচয় ও ছবি রেখে নিজ থানা পুলিশের মাধ্যমে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতের মুচলেকায় সকলকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।