জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেছেন, দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ও নির্বাচন কমিশনের ওপর মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনসহ সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।
জাপা চায় নির্বাচন কমিশন যেন প্রতিটি নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও প্রতিযোগিতামূলক করতে পারে। স্বাধীন এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে যেন নির্বাচন কমিশন প্রভাব ও হস্তক্ষেপ মুক্তভাবে কাজ করতে পারে।
সোমবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের সভাপতিত্বে পার্টির প্রেসিডিয়াম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভা শেষে জাপার মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি কোনো প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন চায় না। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ধানমন্ডি এলাকায় উপ-নির্বাচনে শতকরা দুই শতাংশ ভোট পড়েছে। ডেমরা এলাকায় ভোট পড়েছে শতকরা ১০ শতাংশ। অথচ আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দাবি করে তাদের কারও ৩৫ আবার কারো ৪০ শতাংশ ভোট রয়েছে। এতে প্রমাণ হয় নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থা নেই। স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন ছাড়া স্বচ্ছ নির্বাচন সম্ভব নয়।
বাবলু বলেন, মহামারি আকারে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস। হাসপাতালে সিট নেই, চিকিৎসা নেই। এখন মানুষ বাঁচানোই সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক কর্মসূচি। তিন কোটি ভ্যাকসিন বুকিং দিয়েছে সরকার, তা তিন কোটি মানুষ পাবে নাকি দেড় কোটি মানুষ দু’টি করে ডোজ পাবে তা পরিষ্কার নয়। আমরাই দাবি করেছি, দেশের প্রতিটি মানুষকে বিনামূল্যে করোনা প্রতিরোধে ভ্যাকসিন দিতে হবে।
জাপা মহাসচিব বলেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে খুন, ধর্ষণ, সন্ত্রাস বন্ধ হচ্ছে না। ধর্ষণ প্রতিরোধে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আইন হয়েছে, কিন্তু ধর্ষণ বন্ধ হচ্ছে না। অথচ পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এসিড সন্ত্রাস বন্ধে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আইন কার্যকর করে এসিড সন্ত্রাস নির্মূল করেছিলেন। পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ উন্নয়ন ও সুশাসন নিশ্চিত করেছিলেন। তাই দেশের মানুষ পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টির শাসন ফিরে পেতে চায়।
এর আগে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রেসিডিয়াম সভায় বক্তব্য রাখেন- জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ফকরুল ইমাম, সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, হাবিবুর রহমান, মি. সুনীল শুভরায়, এস এম ফয়সল চিশতী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, মো. আজম খান, এটিইউ তাজ রহমান, মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা, সোলায়মান আলম শেঠ, আব্দুর রশীদ সরকার, সফিকুল ইসলাম সেন্টু, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, সৈয়দ দিদার বখত, নাজমা আখতার, আব্দুস সাত্তার মিয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, এমরান হোসেন মিয়া, মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেল, লিয়াকত হোসেন খোকা, মো. জহিরুল ইসলাম জহির, ক্কারী মো. হাবিবুল্লাহ বেলালী।