করোনা মহামারির পর বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে ২৫ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)। বাংলাদেশি মুদ্রায় এ অর্থের পরিমাণ প্রায় দুই হাজার ১২৫ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে)।
অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কর্মসূচির প্রোগ্রাম্যাটিক ৫০ কোটি ডলারের প্রথম সাবপ্রোগ্রামে ২৫ কোটি ডলার অনুমোদন করল এডিবি। শনিবার এডিবির ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এডিবি জানায়, টেকসই অর্থনীতি পুনরুদ্ধার কর্মসূচির উদ্দেশ্য হলো কোভিড-১৯ মহামারি থেকে দ্রুত ও টেকসই পুনরুদ্ধারের সুবিধা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। এজন্য ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অর্থনৈতিক কার্যক্রম সম্প্রসারিত করতে হবে। এডিবির এ অর্থ আর্থিক সংস্থানের পাশাপাশি কুটির, ক্ষুদ্র্র এবং মাঝারি আকারের উদ্যোক্তাদের পুনরুদ্ধারে সহায়তা করবে।
সংস্থাটি আরও জানায়, এই ঋণ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক সুরক্ষা এবং অবকাঠামোতে সরকারের পরিকল্পিত পাবলিক বিনিয়োগকে সমর্থন করবে এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম এবং অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে উদ্দীপিত করতে সহায়তা করবে। এটি দেশের অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্যগুলোর সাথেও সংযুক্ত এবং ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে সমর্থন করবে।
এডিবির প্রধান আর্থিক ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ শ্রীনিবাসন জনার্দনম বলেন, এ কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশের আর্থিক সংস্থানকে সরকারের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবকাঠামোতে ব্যয় এবং অধিক বিনিয়োগকে অগ্রাধিকার দেবে। প্রোগ্রামটি পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্টে দক্ষতা বাড়াবে। বিশেষ করে দরিদ্র ও দুর্বলদের জন্য ক্রেডিট অ্যাক্সেসের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কোভিড-১৯ মহামারি দেশের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা এবং ক্ষুদ্র ব্যবসাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। বৃহত্তর কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের (সিএমএসএমই) মাত্র ২৮ শতাংশ আনুষ্ঠানিক ব্যাংক ক্রেডিটের অ্যাক্সেস পায়। সিএমএসএমই এর জন্য ঋণের অ্যাক্সেস বাড়ানো হলে অর্থনীতির এই গুরুত্বপূর্ণ খাতকে রক্ষা করা সম্ভব হবে, যা অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধিকে সমর্থন করবে।