রাজধানীর কাকরাইল মোড়, বিজয়নগর ও পল্টন এলাকায় ত্রিমুখী সংঘর্ষ আর হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনায় সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ৫০ জনকে ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৫ জন সাংবাদিক, ১৯ জন পুলিশ ও বাকি বিএনপির নেতাকর্মী বলে জানা গেছে। এখনও একে একে আহতকে হাসপাতালে আনা হচ্ছে।
শনিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত ঢাকা মেডিক্যালে ৫০ জন আহতকে নেয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে পুলিশের এক সদস্যের অবস্থা গুরুতর। তার মাথা থেতলে গেছে। অন্যরা সাংবাদিক ও বিএনপির নেতাকর্মী।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডিসি মিডিয়া ফারুক হোসেন দাবি করেছেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা মারধরে পুলিশের অন্তত ৪১ জন সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ২২ জন এবং ঢাকা মেডিকেলে ১৯ জনকে নেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ চলাকালে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে পুলিশ নাইটিংগেল মোড় থেকে টিয়ার শেল ছুড়তে শুরু করে। এ সময় কাকরাইল, বিজয়নগর ও সংশ্লিষ্ট এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়।
এ সময় সেখানে অবস্থান নিয়ে খবর সংগ্রহ করার সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা সাংবাদিক রাফসান জানির ওপর হামলা চালায়। প্রাণ বাঁচাতে তিনি সেগুনবাগিচার দিকে দৌড় দিলে হামলাকারীরা তার পিছু নিয়ে ব্যাপক মারধর করে। এক পর্যায়ে রাফসান রাস্তায় পড়ে যান। এসময় তার মাথা ও সারা শরীরে বেদমভাবে আঘাত করা হয়।
পরে অন্য সাংবাদিকরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান।