অনলাইন ডেস্কঃআষাঢ়ের ভ্যাপসা গরমের মধ্যে আজ শুক্রবার বিকেলের বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরেছে প্রাণিকুলে। তবে স্বস্তির বৃষ্টিতে শহরের নিম্ন এলাকার রাস্তাগুলোতে উপচে পড়ে পানি। আজ-কালও দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলের ওপর দিয়ে থেমে থেমে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। সোমবার এই বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমতে পারে বলে তারা জানায়। ভারী বৃষ্টিতে উপকূলীয় এলাকার ভেড়িবাঁধ ভাঙনের আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে নদী বন্দরে এক সতর্কসংকেত জারি করা হয়েছে। প্রচন্ড বৃষ্টিতে মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা কোথাও হাঁটু পানি আবার কোথাও কোমর সমান পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে নগরীর জনজীবন। সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী।
খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অধিদপ্তরের ইনচার্জ আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বলেন, শুক্রবার খুলনাতে ৫৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এটাই এ বছরের সর্বাধিক। আগামী দুই দিন এই বৃষ্টি থেমে থেমে অব্যাহত থাকবে। সোমবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমে আসবে। কিন্তু একেবারে বন্ধ হবে না। বষা মৌসুমে এই বৃষ্টি স্বাভাবিক। ভারী বৃষ্টির কারণে নদীবন্দরে সতর্কসংকেত জারি করা হয়েছে। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে রূপুরের তেঁতুলিয়ায় ১৯৭ মিলিমিটার।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গতকাল বিকেলে মহানগরীর অধিকাংশ এলাকায় প্রায় একঘন্টা ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে নিচু এলাকার সড়কগুলো উপছে পড়ে পানিতে। ছুটিদিনে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে ছিলেন না কেউ। তবে যান চলাচল সীমিত হয়ে যায়। নগরীর রয়েল মোড়, খানজাহান আলী রোডের কয়েকটি স্থানে, পিটিআই মোড় ও আহসান আহমেদ রোডেসহ কয়েকটি স্থানে হাটুপানি জমে যায়।
অন্যদিকে, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ঢাকার সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ৭৬ মিলিমিটার। আবহাওয়ার এক সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট এবং চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারী (৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাইড় এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান আবহাওয়াবিদ একেএম রুহুল কুদ্দুছ।
অন্যদিকে, শুক্রবার রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, খুলনা, কুষ্টিয়া, যশোরসহ নদী অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।