অনলাইন পোর্টাল খুলনার কন্ঠ’র কথিত সম্পাদক শেখ রানা (৩৫)সহ দু’জন আবারও ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের নগরীর গগণবাবু রোডস্থ সবুরেণনেছা মহিলা ডিগ্রী কলেজের সামনে অভিযান চালিয়ে ৩৮ বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার করা হয়।
বুধবার (৭ এপ্রিল) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রানাসহ দু’জনকে আদালতে হাজির করেন। আদালতের বিচারক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম তাদের জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ প্রদান করেছেন। রানা নগরীর দক্ষিন টুটপাড়া সার্কুলার রোড টুটপাড়া পুলিশ ফাঁড়ী এলাকার গাজী এনামুল কবিরের ভাড়াটিয়া মো. ওমর আলীর ছেলে এবং অপর আসামী হলেন শেখপাড়া তেতুলতলা মোড়ের সুলতান কন্ট্রাকটরের ভাড়াটিয়া মো. হারুন অর রশিদের ছেলে সোহাগ হোসেন (২৬)।
এর আগে গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি অনলাইন নিউজ পোর্টাল খুলনার কন্ঠের প্রকাশক কথিত নারী সাংবাদিক ইশরাত ইভার স্বামী খুলনার কন্ঠের সম্পাদক শেখ রানা ওরফে ইয়াবা রানাকে ১০০বোতল ফেনসিডিলসহ ফুলতলা থানাধীন যুগ্নিপাশার শেষ সীমানায় চার রাস্তার মোড় থেকে আটক করে খুলনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। একই সাথে মাদক চোরাচালানে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো খ-১২-৬৯৭৫) জব্দ করে পুলিশ। ওই মামলায় সে জামিনে বেরিয়ে আবারও ফেনসিডিলের ব্যবসা শুরু করে বলে জানায় পুলিশ। এছাড়া গত বছরের ৫ জুলাই যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকা থেকে ২৫ বোতল ফেনসিডিলসহ রানা শেখকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এসময় তার সাথে থাকা একজন ও একটি মোটরসাইকেল আটক করা হয়। এ ঘটনায় ঝিকরগাছা থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয় যার নং-৩।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ৬ এপ্রিল রাতে পুলিশ জানতে পারে যে, বেনাপোল থেকে মোটরসাইকেলযোগে দুই যুবক ফেন্সিডিল বিক্রির উদেশ্যে খুলনায় আসছে। রাত পৌনে ১১ টায় জোড়াগেট এলাকায় চেকপোষ্ট বসিয়ে পুলিশ তল্লাশি চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মোটরসাইকেল চালক দ্রুত গতিতে চেকপোষ্ট অতিক্রম করে পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশও পিছু নিয়ে গগণ বাবু রোড সবুরণনেছো মহিলা কলেজের সামনে থেকে তাদের আটক করে। পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে যে, তাদের কাছে ফেন্সিডিল রয়েছে। পুলিশ তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক মোটরসাইকেলের ছিটের নীচ থেকে ৩৭ বোতল ফেন্সিডিল ও সোহাগ হোসেন তার কোমর থেকে ১ বোতল ফেন্সিডিল বের করে দেয়। বেনাপোল থেকে বিভিন্ন সময় পাইকারি দরে ফেন্সিডিল ক্রয় করে খুলনায় খুচরা দরে বিক্রি করে বলে তারা জানায়। এঘটনায় খুলনা থানার এসআই বিএম মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে খুলনা থানায় মাদক আইনে মামলা দায়ের করেন যার নং ১৪।