একজন পদস্থ পুলিশ কর্মকর্তার অনৈতিক তৎপরতার অভিযোগের সংবাদ গণমাধ্যমে প্রচারের পর অন্তত ১০ জন সাংবাদিককে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে তলব করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু। তারা এ ধরনের পদক্ষেপের প্রতিবাদও জানিয়েছেন।
বুধবার (১৭ জুন) এক বিবৃতিতে ডিইউজে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এ প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ডিএমপির দফতর থেকে কয়েকদিন আগে পাঠানো এক চিঠিতে ‘সুষ্ঠু অনুসন্ধানের নিমিত্তে’ নির্ধারিত সময়ে ১০ জন সাংবাদিককে হাজির হতে বলা হয়েছে। পুলিশি অপরাধ সংক্রান্ত পুলিশ বিভাগের তদন্তে সাংবাদিকদের তলব করা এবং জিজ্ঞাসাবাদের পদক্ষেপ স্পষ্টতই প্রচলিত আইন ও রেওয়াজের পরিপন্থী। এ ধরনের চিঠি এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক চাপ তৈরি করছে, যা স্বাধীন সংবাদ প্রবাহের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ।
বিবৃতিতে ডিইউজে নেতারা এই ধরনের হয়রানি ও মনস্তাত্ত্বিক চাপমূলক উদ্দেশ্যপূর্ণ চিঠি অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান।
তারা বলেন, দেশের প্রচলিত আইনে সাংবাদিকদের কাছে তথ্যের সূত্র জানতে চাওয়ার কোনো অবকাশ নেই। কেননা, সূত্রের গোপনীয়তা রক্ষা করা একজন সাংবাদিকের মৌলিক ও পবিত্র দায়িত্বের অংশ হিসেবে স্বীকৃত। তাছাড়া, সাংবাদিকদের কাজ হচ্ছে গোপনীয়তার বেড়াজাল ভেঙে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ তথ্য জনগণকে অবহিত করা।
বিএবির সিদ্ধান্তে উদ্বেগ
এদিকে সংবাদপত্র, অনলাইন বার্তা সংস্থা ও টেলিভিশনে ব্যাংকের বিজ্ঞাপন বন্ধ রাখার ব্যাপারে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) সাম্প্রতিক ঘোষণায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ডিইউজে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
বিবৃতিতে তারা বলেন, গণমাধ্যমে ব্যাংকের বিজ্ঞাপন প্রদান বন্ধ রাখার ঘোষণা মূলত গণমাধ্যমের সম্প্রসারণ ও স্বাধীন মতপ্রকাশের পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করার শামিল। গণমাধ্যমের আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস্য প্রধানত বিজ্ঞাপন। করোনা দুর্যোগের এই কঠিন সময়ে কোনো সংগঠন বা সংস্থা থেকে বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা গণমাধ্যমের জন্য সুবিবেচনাপ্রসূত আচরণ হবে না। দেশ ও জাতি গঠনে গণমাধ্যম যে ভূমিকা রয়েছে, এই ঘোষণায় তা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ডিইউজে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মনে করেন, ঘোষণা দিয়ে বিজ্ঞাপন বন্ধ করা মিডিয়ার সাথে বৈরী আচরণের শামিল, যা খুবই হতাশা ও দুর্ভাগ্যজনক। এ ধরনের ঘোষণা থেকে বিএবিকে সরে আসার আহ্বান জানান ডিইউজে নেতাদ্বয়।