অন্তর্বর্তী সরকার একটি নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করবে। তবে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ, বেসামরিক প্রশাসন, নিরাপত্তা সংস্থা ও গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের পর। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস রোববার (১৮ আগস্ট) ঢাকায় বিদেশি কূটনীতিকদের উদ্দেশে দেওয়া এক বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
৮ আগস্ট সরকারপ্রধানের দায়িত্ব গ্রহণের ১০ দিন পর বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার কূটনীতিকদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাতের জন্য এ আয়োজন করা হয়। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রায় ৫০ জন মিশনপ্রধান যোগ দেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের শাসনের বর্ণনা দিয়ে ড. ইউনূস বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়েছেন। তাঁর স্বৈরশাসনে দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়েছে। বিচার বিভাগ ভেঙে পড়েছে। গণতান্ত্রিক সকল অধিকার নিষ্পেষিত হয়েছে। তরুণদের কয়েকটি প্রজন্ম কোনোরকম ভোটাধিকার চর্চা ছাড়াই বড় হয়েছে। রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় ব্যাংকগুলো লুট হয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাষ্ট্রের ভান্ডার তছরুপ করা হয়েছে।
ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। দেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গভীর সংস্কার করা দরকার। এ ক্ষেত্রে সরকারকে সহযোগিতার জন্য তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি অনুরোধ জানান। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।