চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃদুই বছরেও রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানের কোনো লক্ষণ নেই। বরং দিন যতো যাচ্ছে পরিস্থিতি ততো জটিল হচ্ছে। জাতিসংঘের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও চীন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিলেও শরণার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে তাদের মিয়ানমারে ফেরত না পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে তারা পাল্টা বাংলাদেশকেই চাপের মুখে ফেলেছে। অথচ রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ইস্যুতে জাতিসংঘ কিংবা প্রভাবশালী ওই দেশগুলো দীর্ঘদিনেও মিয়ানমারের ওপর তেমন কোনো চাপ সৃষ্টি করতে পারেনি। এ কারণে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন শুরুর লক্ষ্যে দু’দফা দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হলেও তা ব্যর্থ হয়। দ্বিতীয় দফা প্রত্যাবাসন ব্যর্থতার মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম আরও দীর্ঘ মেয়াদে ঝুলে যাওয়ার ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়েছে। এতে দেশের রাজনীতির পাশাপাশি অর্থনীতিতে নতুন সংকট তৈরি করবে বলে সরকারের নীতি-নির্ধারকরা আশঙ্কা করছেন। অথচ এ ফাঁদ থেকে বেরিয়ে আসার পথ এখনো পুরোপুরি অন্ধকারাচ্ছন্ন।
এদিকে, উখিয়া-টেকনাফে মানবিক আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ২য় বর্ষ পূর্ণ হয়েছে গতকাল রোববার। এই দিনটিকে রোহিঙ্গা গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে নিপীড়িত এ জনগোষ্ঠি। টেকনাফের রইক্ষ্যং ক্যাম্পে দিবসটি উপলক্ষ্যে গতকালও বিক্ষোভ মিছিল করেছে রোহিঙ্গারা। খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সড়কে বিভিন্ন শ্লোাগানে মুখরিত করে তোলে। এ সময় রোহিঙ্গা নেতা, শিশু ও কিশোরেরা উত্থাপিত দাবি আদায় না হলে স্বদেশে ফিরে যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দেয়।
অপরদিকে, গত শনিবার টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এনজিওগুলো অঘোষিতভাবে কাজ বন্ধ রাখে। গত বৃহস্পতিবার উগ্রপন্থী রোহিঙ্গাদের হাতে স্থানীয় যুবলীগ নেতা নিহতের জের ধরে স্থানীয়রা বেশ কিছু এনজিও সংস্থার সাইনবোর্ড ও বেড়া ভাংচুর করে। এতে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে এনজিওগুলো কাজে বিরত থাকে।
পর্যবেক্ষকদের মতে, দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংগঠনগুলো শরণার্থীদের মৌলিক অধিকার ও মিয়ানমারে তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার দাবি জানানোর পাশাপাশি এ ব্যাপারে তাদের নানামুখী ইন্ধন জুগিয়ে গোটা পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে করে তুলেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ওইসব ইন্ধনদাতা এনজিওদের তালিকা তৈরি করে তাদের নজরদারির আওতায় আনার হুঁশিয়ারির পাশাপাশি শরণার্থী রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নেয়ার কথা জানালেও এতে সংকট আরও বাড়বে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা আশঙ্কা করছেন।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের সেনা, বিজিপি, নাটালা বাহিনীর নির্যাতনের মুখে নিজ দেশ ছেড়ে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে শুরু করে রোহিঙ্গারা। উখিয়া ও টেকনাফে স্থানীয় লোকের সংখ্যা পাঁচ লাখের কিছু বেশি হলেও এ দুই থানায় বর্তমানে রোহিঙ্গার সংখ্যা ১১ লাখের বেশি। এতে এখানে স্থানীয় বাংলাদেশি অধিবাসীরা সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশে বাংলাদেশে বসবাস করতে গিয়ে বিপুল পরিমাণ বনভূমি ধ্বংসসহ পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছে রোহিঙ্গারা।
রোহিঙ্গা সংকটের দু’বছর উপলক্ষে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর এক বিবৃতিতে বলেছে, দুই বছর আগে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী রাখাইন রাজ্যে নিরীহ মানুষের ওপর নির্বিচারে নিষ্ঠুর হামলা চালায়। সংকট নিরসনে চেষ্টা চালিয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্র। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে যুক্তর্রাষ্ট্র। বিবৃতিতে কফি আনান কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়ন করার জন্য মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় ফিরে যাওয়া নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।
এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় প্রশাসনের বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে প্রবেশে বা কোনা বেসরকারি সংস্থার কর্মকান্ড চালানোর ক্ষেত্রে আরও কড়াকড়ি করার বিষয় সরকারের আলোচনায় রয়েছে। প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে তালিকা ধরে রোহিঙ্গাদের যাদের সাক্ষাৎকার এখন নেয়া হয়, তাতে মূলত তাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার বিষয়ে জানার চেষ্টা করা হয়। এই স্বেচ্ছায় ফেরত যাওয়ার প্রশ্ন বাদ দেয়া যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে প্রশাসনের মাঠপর্যায়ে। রোহিঙ্গাদের ওপর সরাসরি চাপ সৃষ্টির চিন্তা-ভাবনা চলছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মিয়ানমারে সহিংসতার শিকার হয়ে অনেকটা ‘এক কাপড়ে’ বাংলাদেশে পাড়ি দিয়েছিল লাখ লাখ রোহিঙ্গা। উদ্বাস্তু হয়ে আসা এসব রোহিঙ্গা কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে অস্থায়ীভাবে মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়েছে। তবে উদ্বাস্তু এসব রোহিঙ্গাদের অনেকেই এখন ওই এলাকায় ক্যাম্পের ভেতরে হরেক রকমের দোকানসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক। অনেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিও জুটিয়ে নিয়েছে। বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের দেওয়া ত্রাণে ভরছে পেট, ব্যবসা-চাকরির টাকায় ভরছে পকেট। এভাবে দুই বছরের মাথায় বাংলাদেশের মাটিতে অনেকটা জেঁকে বসেছে লাখ, লাখ রোহিঙ্গা। এতে তাদের মধ্যে স্বদেশে ফেরার কোনো তাড়া নেই।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ক্যাম্পে তাদের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড করতে দেওয়ায় অনেকের অভাব ঘুচেছে। অন্তত কোনো রোহিঙ্গা পরিবার এখন অনাহারে নেই। এজন্যই মিয়ানমারের ফেরার কথা উঠলেই তারা নানা ধরনের শর্ত জুড়ে দিচ্ছে।
রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করলে পরিস্থিতি আরও জটিল হবে বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা আইওএমের সাবেক কর্মকর্তা আসিফ মুনির। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ওপর সরাসরি চাপ সৃষ্টি করে কোনো লাভ হবে না। যেটা করতে হবে যে, মিয়ানমারের ওপর শক্ত অবস্থান নিতে হবে। যেটা আমরা দ্বিপাক্ষিক প্রক্রিয়ার মধ্যে দেখছি না। সবসময় মিয়ানমার বলছে, কীভাবে কী করতে হবে এবং বাংলাদেশ সেভাবেই মেনে নিচ্ছে। সেখানে কৌশলের পরিবর্তন আনতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক সৈয়দা রোজানা রশীদ মনে করেন, বাংলাদেশের পক্ষে বাস্তবে কঠোর কোনো অবস্থান নেয়া সম্ভব হবে না। তার ভাষ্য, আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের যে অবস্থান, তাতে বাংলাদেশ খুব বেশি কঠোর হতে পারবে না দুটি কারণে। এর একটা মানবিক দিক আছে, এটি মানবিক বিপর্যয়ের ঘটনা। আর এটা বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে কোনোভাবেই ইতিবাচক দেখাবে না। তিনি বলেন, এটা কোনো পণ্য নয় যে, ঠেলে পাঠিয়ে দিলাম। কূটনৈতিকভাবেই সরকারকে আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের মাধ্যমে মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে হবে।
এদিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া দ্বিতীয়বারের মতো ব্যর্থ হওয়ায় এ কার্যক্রম আরও দীর্ঘ মেয়াদে ঝুলে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। এছাড়া রোহিঙ্গাদের একটি অংশ অপরাধমূলক কার্যক্রমের পাশাপাশি জঙ্গি তৎপরতায়ও যুক্ত হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা। এর আগে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ (আইসিজি) এক প্রতিবেদনে বলেছে, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বড় ধরনের নিরাপত্তার সংকট তৈরি করতে পারে। জঙ্গি দলে ভেড়ানোর জন্য উদ্বাস্তু রোহিঙ্গাদের টার্গেট করা হচ্ছে।
যদিও এ আশঙ্কা অনেকটাই অবান্তর বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের অনেকেই। তাদের ভাষ্য, এখানে জঙ্গি তৎপরতা বাড়বে বলে যে কথা বলা হচ্ছে, সেটা অনেকটা বাড়িয়ে বলা হচ্ছে। বাংলাদেশে যেসব রোহিঙ্গা এসেছেন তারা নিরীহ এবং সাধারণ। অল্পকিছু বিদ্রোহী বা আরসা থাকলেও থাকতে পারে। তবে তারা এখানে সক্রিয় হতে পারবে বলে মনে হয় না। বাংলাদেশের গোয়েন্দা এ ব্যাপারে যথেষ্ট সতর্ক নজরদারি রাখছে বলে মনে করেন তারা।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের ওপর চাপ সহ্য করবে না চীন
মিয়ানমারের স্থানীয় দৈনিক ইরাবতীর এক অনলাইন প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিং অং হ্লেইংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত চেন হাই। তিনি সেনপ্রধানকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের পাশে থাকবে বেইজিং। রোহিঙ্গাদের গণহত্যাসহ আরও অনেক অভিযোগে চাপের মুখে রয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক চাপে মিয়ানমার কিছু মানুষকে ফিরিয়ে নিতে সম্মত হলেও গত শুক্রবার বাংলাদেশ থেকে দ্বিতীয় দফায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
মিয়ানমারের সেনাপ্রধানের কার্যালয় থেকে দেয়া এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতি অনুযায়ী চেন হাই এবং মিং অং হ্লেইংয়ের মধ্যে বৈঠকে আলোচিত বিষয় নিয়ে বলা হচ্ছে, চীনা প্রতিনিধি তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। বিষয় তিনটি হলো- প্রথমত, রোহিঙ্গা এবং মানবাধিকার ইস্যুতে মিয়ানমারের ওপর ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক চাপ সহ্য করবে না বেইজিং। দ্বিতীয়ত, সম্প্রতি দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ সান এবং মানডালায় অঞ্চলের শহর পিও ও লুইনে যে সহিংস হামলা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে তারা। তৃতীয়ত, মিয়ানমারে শান্তি প্রক্রিয়া এবং শান্তি আলোচনা অব্যাহত রাখতে সম্ভাব্য পথ খুঁজতে সহায়তা করবে চীন।
কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
রাখাইনে এখনও মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতন অব্যাহত আছে। এ অবস্থায় রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বলা হয়েছে, ওই সুপারিশে মিয়ানমার ও রাখাইনের সব মানুষের জন্য উত্তম সমাধানের পথ রয়েছে। একই সঙ্গে উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টিতে মিয়ানমার সরকারকে উৎসাহিত করতে আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র অব্যাহতভাবে কাজ করছে, যাতে শরণার্থীরা তাদের মূল বাসস্থানে অথবা তাদের পছন্দমতো স্থানে স্বেচ্ছায়, নিরাপদে, মর্যাদার সঙ্গে টেকসইভাবে ফিরে যেতে পারেন। গত ২৪ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের অফিস থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, দুই বছর আগে মিয়ানমারের নিরাপত্তারক্ষীরা নারী, পুরুষ ও শিশুদের বিরুদ্ধে নৃশংসতা চালায়। রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে নিরাপত্তারক্ষীদের পোস্টে উগ্রপন্থিদের হামলার জবাবে ভয়াবহভাবে বৈষম্যমুলকভাবে অভিযান শুরু করে তারা। এতে কমপক্ষে ৭ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। মিয়ানমারের ওই নৃশংসতাকে অভিহিত করা হয়েছে জাতি নিধন হিসেবে। বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, গত ৭০ বছরের বেশি সময়ে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী শুধু রাখাইন রাজ্যেই মানবাধিকার লঙ্ঘন করেনি। জবাবদিহিতা না থাকায় এবং সেনাবাহিনীর ওপর বেসামরিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে এখনও রাখাইন রাজ্যে নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে সেনারা। একই সঙ্গে নির্যাতন চালাচ্ছে কাচিন, শান রাজ্যে ও মিয়ানমারের অন্যান্য স্থানে। আমরা এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানাই মানবাধিকারের প্রতি সম্মান দেখাতে। নিরবচ্ছিন্ন প্রবেশের মানবিক অনুমোদন দিতে হবে। শান্তির লক্ষ্যে যুক্ত থাকতে হবে রাজনৈতিক সংলাপে। বিবৃতিতে বলা হয়, রাখাইন সঙ্কটে মানবিক সহায়তায় শীর্ষস্থানীয় অংশীদার যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৭ সালের আগস্টে সহিংসতা শুরুর পর থেকে এ খাতে যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ৫৪ কোটি ২০ লাখ ডলার দিয়েছে। মানবিক সহায়তায় অন্যদের যুক্ত হতে আহ্বান জানাই আমরা। নির্যাতনে যারা প্রাণ হারিয়েছেন এবং নির্যাতনের ফলে কমপক্ষে ১০ লাখ শরণার্থী, যারা বাংলাদেশে আশ্রয় পেয়েছেন- তাদের সবার প্রতি আমাদের সহানুভূতি। মিয়ানমার চেষ্টা করছে শক্তিশালী, শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ একটি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। কিন্তু এক্ষেত্রে ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা একটি অত্যাবশ্যকীয় বিষয়। একই সঙ্গে মিয়ানমারে ন্যায়বিচার ও স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গাদের ফেরত যাওয়ার পরিবেশ সৃষ্টিতে অন্যদের প্রতি আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র।