১২ মার্চ যশোর ২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অবঃ) অধ্যাপক ডা. মো. নাসির উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে শিক্ষামন্ত্রীকে জানানো হয়েছে, যশোরের গুরুত্বপূর্ণ একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা র্বোড। এই প্রতিষ্ঠানের শীর্ষপদে থাকার আগেও সচিব হিসাবে নানা অনিয়ম দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে অধ্যাপক ড. মোল্লা আমির হোসেনের বিরুদ্ধে। ১০ টি জেলার শিক্ষার্থী, অভিভাবক থেকে শুরু করে নানা সময় সরকারকেও বিব্রত করেছেন মোল্লা আমির। এছাড়া যশোর জেলার সংসদ সদস্যদের যৌক্তিক ও ন্যায় সংগত মতামত ও অনুরোধ বরাবরই তিনি উপেক্ষা করেন, যা কখনোই কাম্য নয় বলে লিখিত চিঠিতে জানানো হয়। এ অবস্থায় মোল্লা আমির হোসেনকে অব্যাহতি দেয়ার অনুরোধ করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অবঃ) অধ্যাপক ডা. মো. নাসির উদ্দিন।
এর আগে ৭ মার্চ যশোর ৬ আসনের সংসদ সদস্য এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারও একই রকম একটি চিঠি দেন শিক্ষামন্ত্রীকে। সেখানে তিনি অধ্যাপক ড. মোল্লা আমির হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে শুরু করে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমাকৃত অভিযোগগুলো তুলে ধরেন। অধ্যাপক ড. মোল্লা আমির হোসেনকে জাতীয় দুর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে শাহীন চাকলাদার অদক্ষ এই কর্মকর্তাকে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণের দাবি জানান।
এদিকে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা ভোরের পাতাকে বলেন, যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোল্লা আমির হোসেনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। ইতিমধ্যেই তার বিরুদ্ধে স্থানীয় দুইজন সংসদ সদস্যও অপসারণের দাবি জানিয়েছেন। তদন্তে তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি সুনিদির্ষ্ট দুর্নীতির অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিষয়টি শিক্ষামন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে অধ্যাপক ড. মোল্লা আমির হোসেনের বিরুদ্ধে অপসারণমূলক ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে বলেও নিশ্চিত করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এ কর্মকর্তা।
সূত্র জানিয়েছে, যশোর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান মোল্লা আমির হোসেন ২০১১ সালে ২৭ জানুয়ারি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার পদে আবেদন করেন। কিন্তু চাকরি প্রাপ্তির জন্য ৫ টি শর্তের মধ্যে প্রধান ২ টি শর্তই পূরণ করতে পারেননি। এছাড়া যশোর শিক্ষা বোর্ডের সচিব থাকাকালীন সময়ে টেন্ডার বাণিজ্যে জড়িয়ে পরেন। সীমাহীন দুর্নীতির কারণে যশোর শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে অবরুদ্ধও করে রেখেছিল।
এসব বিষয়ে মন্তব্য জানার জন্য যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোল্লা আমির হোসেনকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।