উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের ৭ গ্রামের মানুষ অবশেষে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত হতে চলেছে শাকবাড়ীয়া খালে পাইপ বসিয়ে দ্রুত পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করেন মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন লাভলু এবং স্থানীয় নেতাকর্মীর মাধ্যমে বিষয়টি জানার পর মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ¦ মোঃ আকতারুজ্জামান বাবু আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে এ ধরনের ব্যবস্থা করেছেন। সোমবার সকাল ১১ টায় স্থানীয় চেয়ারম্যান ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে শাকবাড়ীয়া খালের বড় ব্রীজ নামক স্থানে বিশাল আকৃতির দুটি পাইপ বসানো হয়েছে। এসময় ৭ গ্রামের শত শত কৃষক ও সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফুর্তভাবে পাইপ বসানোর কাজে অংশ নিতে দেখা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এই ইউনিয়নের মহারাজপুর, মঠবাড়ী, কালনা, শ্রীরামপুর, অন্তাবুনিয়া, দেয়াড়া ও খড়িয়া গ্রামের মানুষ অতি বৃষ্টি হলেই পানিবন্দী হয়ে পড়ে। কারন ২০০৯ সালের ২৫ মে আইলা পরবর্তী শাকবাড়য়িা খালের বড় ব্রীজটি ধসে পড়ায় এলাকাবাসী নিজ নিজ এলাকা মুক্ত রাখতে সেখানে অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করে। ফলে দীর্ঘদিন উল্লেখিত গ্রামের মানুষ প্রতি বর্ষা মৌসুমে পানি বন্দী হওয়ায় ধান ও মাছের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়।
জানা গেছে, বিষয়টি স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ বিগত কয়েক বছর যাবত আন্দোলন করে আসলেও দ্রুত পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা হয়নি। কিন্তু এলাকাবাসীর দাবীর মুখে ইউপি চেয়ারম্যান মাননীয় সংসদ সদস্যের সাথে দ্রুত আলোচনা করে সোমবার এ কাজটি করেছেন। এবং ইউপি চেয়ারম্যান ও সাংসদ উক্ত কাজের জন্য আর্থিক বরাদ্ধ দিয়েছেন। এ সম্পার্কে ইউপি চেয়ারম্যান লাভলু জানায়, আইলা পরবর্তী বিকল্প পথে পানি নিস্কাশন হতে দীর্ঘ সময় লাগত। তিনি বলেন, শাকবাড়ীয়া খালের বিধ্বস্থ বড় ব্রীজে স্থানে অস্থায়ী বাধ আছে এবং ৪ টি ইউনিয়নের মানুষ ও প্রতিদিন কয়েক হাজার গাড়ী চলাচল করায় বাঁধ কাটা সম্ভব হয়নি এছাড়া উক্ত স্থানে আবারও বড় ব্রীজ নির্মানের জন্য টেন্ডার হলেও ঠিকাদার কাজ না করায় এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে সাংসদের নির্দেশে অবশেষে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় পাইপ বসানো হলে কয়েকটি গ্রামের মানুষ দ্রুত পানি মুক্ত হবে।