চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃবিএনপি’র যুগ্ম-মহাসচিব ডাকসু’র সাবেক জিএস খায়রুল কবির খোকন বলেন, দেশে কোন বৈধ সরকার নেই। এই সরকারের কোন ম্যান্ডেট নেই। দেশে চলছে চরম দুঃশাসন, লুটপাট। গণতন্ত্রহীন ব্যক্তির ইচ্ছাধীন দেশ পরিচালনার দুষ্কর্ম নির্বিঘেœ সম্পন্ন করার ষড়যন্ত্র হিসেবে প্রতিহিংসার বিচারে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করে রেখেছে ফ্যাসিস্ট সরকার। ছাত্রলীগের দখলদারিত্ব, আবরার ফাহাদ হত্যাকান্ড, ভারতের সাথে দেশের স্বার্থবিরোধী চুক্তি, দুর্নীতি বিরোধী অভিযানের নামে বড় বড় দুর্নীতিবাজদের আড়াল করা, ভোটাধিকারহরণ, ভোলায় বিনা কারণে নিরীহ মানুষের উপর গুলিবর্ষণ মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ ও বিরোধী মত দমন চলছে। দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়।
কেন্দ্রীয় এ নেতা আরও বলেন, আজ মানুষ দলে দলে বিএনপি’র পতাকা হলে ঐক্যবদ্ধ হতে যার পরনাই আগ্রহী। অবরুদ্ধ গণতন্ত্র মুক্তির আন্দোলন, প্রতিহিংসার শিকার বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, স্বাধীনতা-সাবভৌমত্ব সুরক্ষার আন্দোলন বেগবান করতে বিএনপিই জনগনের একমাত্র আস্থার রাজনৈতিক দল। সেই দলে গণমানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে দলের প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ অভিযান অব্যাহত রাখতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে সকল নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান প্রধান অতিথি।
গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় নগরীর হোটেল এ্যাম্বেসেডর মিলনায়তনে বিভাগের ১০ জেলা ও খুলনা মহানগরীর নেতৃবৃন্দের সাথে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি’র বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও নগর শাখার সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু সভায় সভাপতিত্ব করেন।
২০১৭ সালের ১ জুলাই থেকে বিএনপি’র প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচি শুরু হয়েছিল। নানা কারণে স্থগিত খাকার পর সম্প্রতি বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় ও তত্ত্বাবধানে সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির হালনাগাদ তথ্য ও অগ্রগতির বাস্তবচিত্র পর্যবেক্ষনে বিভাগ পর্যায়ে পর্যবেক্ষন টীম গঠন করা হয়। বিভাগের মতবিনিময় সভায় ১১টি জেলা ইউনিটের সদস্য সংগ্রহের অগ্রগতি ও বাস্তব অবস্থার প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন দলের মহানগর ও জেলাসমূহের নেতৃবৃন্দ।
সভা বলা হয় খুলনার বেশ কয়েকটি জেলায় পুলিশী হয়রানি ও তান্ডবে দলের প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্তত সাতটি জেলা বিএনপি ও সংশ্লিষ্ট থানা বিএনপি’র কার্যালয়ে পুলিশ হামলা চালিয়ে এ সংক্রান্ত মুড়িবই এবং ফাইল ও কাগজপত্র নিয়ে গেছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা নেতৃবৃন্দ সুনির্দিষ্টভাবে তথ্য উপস্থাপন করেন। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জেলায় থানা ও ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে সদস্য সংগ্রহ অভিযানের অনুষ্ঠানস্থলে পুলিশ এবং সরকারদলের গুন্ডাবাহিনী হামলা চালিয়ে কার্যক্রম পন্ড করার মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। অনেক স্থানে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করে নাশকতার বানোয়াট মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে।
জেলা নেতৃবৃন্দ বলেন, সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম একটি চলমান প্রক্রিয়া এটি নতুন উদ্যমে পুনরায় চালু করার পদক্ষেপ নিতে হবে। মতবিনিময় সভায় বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমি ও অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ ইসলাম অমিত, সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, খুলনা জেলা সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা, মেহেরপুরের সভাপতি মাসুদ অরুন, বাগেরহাটের সভাপতি এম এ সালাম, সাতক্ষীরার আহ্বায়ক রহমতউল্লাহ্ পলাশ, নগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, ঝিনাইদহের এড, এস এম মশিয়ুর রহমান, নির্বাহী কমিটির সদস্য এড. ওয়াহিদুজ্জামান দীপু, এড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, মেহেরপুরের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, ফারাজী মতিয়ার রহমান, ফরিদা ইয়াসমিন, ফিরোজা বুলবুল কলি, আয়েশা সিদ্দিকা মনি, খুলনার আমীর এজাজ খান, যশোরের দেলোয়ার হোসেন খোকন, বাগেরহাটের অধ্যাপক আলী রেজা বাবু, ঝিনাইদহের এড. এম এ মজিদ, মাগুরার মোঃ আখতার হোসেন, চুয়াডাঙ্গার মোঃ মজিবুল হক মালিক, মেহেরপুরের জাভেদ মাসুদ মিল্টন, নড়াইলের মোহাম্মদ আলী হাসান ও শাহরিয়ার রিজভী জর্জ প্রমুখ।