অষ্ট্রেলিয়ার গন্ডি পেরিয়ে পেপিনো মেলন পুষ্টিকর ফলের গাছ দেশের মাটিতে। খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার সাহস ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের প্রগতিশীল ড্রাগন চাষী রফিকুল ইসলাম। তার বাগানে বিদেশী এ পুষ্টিকর ফলের ৩০ টি গাছের কাটিং লাগিয়ে প্রাথমিক চাষাবাদ শুরু করেছে। খুলনার লবনক্ত এলাকায় এ ধরনের ফলের আবাদ কৃষিতে নুতন দিক উম্মোচিত হবে।
কষৃক রফিকুল ইসলাম জানান, ড্রাগন ফল চাষ করে এবছর ভাল লাভবান হয়েছে। নুতন কিছু ফল উৎপাদন করতে খোজ নিয়ে অষ্ট্রেলিয়ান প্রবাসী নীল ফামারীর সেলিম ভাইয়ের কাছ থেকে তিন শত টাকাদরে ৩০ পিস ফল গাছের কাটিং এনে গত ৪ মাস পূর্বে রোপন করি। প্রাথমিক পর্যায়ে গাছ গুলো বাচাঁনোর জন্য দুই পদ্ধতি গ্রহন করে মাটিতে ও টবে লাগিয়েছি।
প্রতিটি গাছ বেচেঁ আছে। বর্তমানে গাছ গুলোতে ব্যাপক হারে ফল ধরতে শুরু করেছে। তিনি বলেন লতার মতো গাছ মাচা পদ্ধতি গ্রহন করা হযেছে। এর একটি ফল ২০০ থেকে -৫০০গ্রাম পর্যন্ত হযে থাকে পুষ্টি সমৃদ্ধ এ ধরনের ফল উৎপাদন করে দেশের মানুষের পূষ্টির পাশাপাশি বৈদেশিক মূদ্রা অর্জন করা সম্ভব।
দেশে এ ফলের চাষাবাদ কম তবে কাটিং পদ্ধতিতে চারা উৎপাদন করে ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটানো সম্ভব। ড্রাগন ফলের পাশাপাশি এ ফল উৎপাদন ও বিক্রি নিয়ে চিন্তিত নয় খুলনার সেভ এন্ড সেভ মার্কেটে ভাল দামে বিক্রি করেছি। তিনি নুতন নুতন ফল চাষাবাদ ও উৎপাদন করে বাংলাদেশের কৃষিকে সামনের দিকে নিয়ে যেতে চান।
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোচ্ছাদেক হোসেন বলেন পেপিনো মেনন বিদেশী ফল হলে এটি আমাদের আবহাওয়া উপযোগী ফল। কষৃক রফিকুল ইসলাম কৃষি বিভাগের পরামর্শে প্রথম বারের মতো এটি আবাদ করেছেন। ফল খেতে সুসাধু ও পুষ্টিকর। এখনও পর্যন্ত অবস্থা ভাল এবং ফল গাছের কাটিং করে কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে জাওযার জন্য কাজকরা হবে।