অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ দিনের সফর শেষে দেশে ফিরে মঙ্গলবার১ (২ ডিসেম্বর) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মব্যস্ত সময় অতিবাহিত করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। সকাল ৯টায় তিনি অফিসে এসে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় জামে মসজিদ, ক্যাম্পাসস্থ গল্লামারী বধ্যভূমি স্মৃতি জাদুঘর, শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসনিক ভবনে লিফট স্থাপন এবং মেইনগেটসহ নির্মাণাধীন বিভিন্ন অবকাঠামোর কাজ পরিদর্শন করেন। এছাড়াও তিনি নির্মাণাধীন ১০ তলা বিশিষ্ট জয়বাংলা ভবন, টিএসসি, জিমনেশিয়াম এর নির্মাণকাজের খোঁজ-খবর নেন। এসময় তিনি প্রকৌশল বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশনা দেন। পরে উপাচার্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্কুল, ডিসিপ্লিন, বিভাগ ও আবাসিক হলসহ একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজের সার্বিক খোঁজ-খবর নেন। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন। বিকালে তিনি বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের সম্প্রসারণকৃত অংশ পরিদর্শন করেন এবং এই অংশ আগামী ১৬ ডিসেম্বর উদ্বোধন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পরিদর্শনকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস, অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) এস এম মনিরুজ্জামান, উপাচার্যের সচিব সঞ্জয় সাহা এবং সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ঠিকাদার ও তাদের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ দিনের সফরে গত ২৬ নভেম্বর ঢাকা ত্যাগ করেন। সফরকালে তিনি অস্ট্রেলিয়ার এশিয়া ডিভিশনের প্রধান গ্যারি ক্রাউন এবং অস্ট্রেলিয়ান সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল এগ্রিকালচার রিসার্চ (এসিআইএআর) এর প্রধান নির্বাহী প্রফেসর ওয়েন্ডি আম্বারগারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এছাড়াও গত ৭ ডিসেম্বর তিনি অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ফেনার স্কুল অব এনভায়রনমেন্ট এন্ড সোসাইটি আয়োজিত সেমিনারে ‘বাংলাদেশের সুন্দরবন-প্রকৃতির অনন্য উপহার’ শীর্ষক গবেষণা নিবন্ধ উপস্থাপন করেন।
এই সেমিনারে অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রথিতযশা বিজ্ঞানী ও গবেষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ সফরে তিনি রাজধানী ক্যানবেরা ছাড়াও সিডনি, ব্রিসবেন, মেলবোর্ন, কেয়ার্নস শহরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে সেমিনারে অংশগ্রহণ, বিভিন্ন ম্যানগ্রোভ বন পরিদর্শন করেন। এছাড়াও যৌথ গবেষণা ও প্রকল্প গ্রহণ এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দ্বি-পাক্ষিক বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন। গত ১১ ডিসেম্বর তিনি অস্ট্রেলিয়া থেকে ঢাকায় ফেরেন। আজ সকালে তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে কর্মব্যস্ত হয়ে পড়েন।