রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্রতারক মোহাম্মদ শাহেদ ওরফে শাহেদ করিম এর অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় অভিযোগ গঠনের জন্য সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়।
বুধবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমানে আদালতে হাজির করলে আসামী পক্ষের আইনজীবি এ্যাড. আবু বক্কর সিদ্দিকী সময় প্রার্থনা করায় আগামীকাল ফের তাকে আদালতে হাজির করে অভিযোগ গঠনের জন্য শুনানির দিন নির্ধারণ করেন। এরপর তাকে আবারো সাতক্ষীরা কারাগারে নেয়া হয়। আলোচিত এই দুটি মামলার সে একমাত্র আসামী।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার শাখরা কোমরপুর এলাকা দিয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করে শাহেদ করিম। বোরখা পরিহিত শাহেদকে কোমরপুর বেইলি ব্রীজের নীচ থেকে র্যাব-৬ এর সদস্যরা তাকে আটক করে। এসময় তার কাছে থাকা একটি অবৈধ পিস্তল, ৩রাউন্ড গুলি, ২৩৩০ ভারতীয় রুপি, ৩টি ব্যাংকের এটিএম কার্ড ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এরপর সকালে সাতক্ষীরায় এনে হেলিকপ্টার যোগে ঢাকায় নিয়ে যায়। এঘটনায় র্যাবের ডিএডি নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দেবহাটা থানায় রাতে শাহেদ করিম ও জনৈক বাচ্চু মাঝিকে আসামী করে একটি মামলা করেন। তদন্তকারি কর্মকর্তা প্রথমে দেবহাটা থানার ওসি উজ্জল কুমার মৈত্র। দুইদিন পর র্যাবের এসআই রেজাউল করিম তদন্তকারি কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়ে ১০দিনের রিমান্ড নেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ওই বছরের ২৪ আগস্ট বাচ্চু মাঝির হদিস না পেয়ে শুধুমাত্র শাহেদ করিমকে অভিযুক্ত করে অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এমামলায় কয়েকটি দিন অতিবাহিত হওয়ার পর আজ বুধবার তাকে অভিযোগ গঠনের জন্য আদালতে আনা হয়।