চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃবঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র ও বাগেরহাট-১ আসনের এমপি শেখ হেলাল উদ্দিন বলেছেন, আওয়ামী লীগে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ মাদক কারবারীদের স্থান নেই। দয়া করে দলের কোন নেতা এসব ব্যক্তিসহ স্বাধীনতা বিরোধী ও তাদের পরিবারের সন্তানদের আওয়ামী লীগে ঠাঁই দিবেন না। আওয়ামী লীগের প্রাণ হচ্ছে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। ওয়ান ইলেভেনসহ দলের দুর্দিনে তৃণমূলের পরীক্ষিত নেতা-কর্মীরাই দলকে বাঁচিয়ে রেখেছে। দলে তাদের যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে। গতকাল সোমবার দুপুরে খানজাহান আলী কলেজ মাঠে বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, আদালত খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়েছে। আদালতের মাধ্যমেই তাকে মুক্ত হতে হবে। তার মুক্তির নামে আন্দোলন করে কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে সরকার কঠোর হাতে তা দমন করবে।
এর আগে সম্মেলন উপলক্ষে সকাল থেকেই জেলার ৯ উপজেলা, ৭৫টি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড থেকে দলীয় নেতা-কর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুনসহ মিছিল নিয়ে সম্মেলনস্থলে আসেন। সকাল সাড়ে ১০টার পর নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে পুরো এলাকা লোকে-লোকারণ্য হয়ে যায়। পরে দুপুর ১২টায় শহরের খানজাহান আলী ডিগ্রি কলেজ মাঠে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য পিযুষ কান্তি ভট্টাচার্য। সম্মেলন প্রধান অতিথি হিসেবে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও অসুস্থতার কারনে তিনি সম্মেলনে অংশ নিতে পারেননি।
বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বাগেরহাট-৪ আসনের এমপি আলহাজ্ব ডাঃ মোজাম্মেল হোসেন এর সভাপতিত্বে সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য মির্জা আজম, আবু সাঈদ স্বপন, এস এম কামাল, হাবিবুর রহমান সিরাজ, আমিরুল আলম মিলন, বাগেরহাট-২ আসনের এমপি শেখ সারহান নাসের তন্ময়, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুজ্জামান টুকু, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ প্রমুখ। সম্মেলনে সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নকিব নজিবুল হক নজু।
এদিকে, সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে কাউন্সিলরদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে ড. মোজাম্মেল হোসেনকে সভাপতি, শেখ কামরুজ্জামান টুকুকে সাধারণ সম্পাদক ও খান হাবিবুর রহমানকে এক নম্বর যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তাদের নাম ঘোষণা করেন ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি।
উল্লেখ্য, বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের এ সম্মেলনকে ঘিরে দলকে সুসংগঠিত করতে গত জুলাই মাস থেকে জেলার প্রায় সাত শতাধিক ইউনিটকে ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু করেন দলের শীর্ষ নেতারা। জেলা ৭৫টি ইউনিয়নের মধ্যে মোড়েলগঞ্জ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা বাদে ৬৮টি ইউনিট ও নয় উপজেলার নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। দল পুনর্গঠনে কাজ শেষ হয় গত নভেম্বরের ২৮ তারিখে। এরমধ্যে তৃণমূলের ষাট থেকে সত্তর ভাগ নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয় সরাসরি ভোটের মাধ্যমে। তবে নয় উপজেলার কোন কমিটিতেই ভোট হয়নি। সমঝোতার মাধ্যমে কমিটি গঠিত হয়। যার অধিকাংশেই সাবেক কমিটি বহাল।